ইংল্যান্ড সিরিজে আর খেলা হচ্ছে না টনি ডি জর্জির। লিডসে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে চোত পাওয়ার পর সিরিজ থেকেই ছিটকে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই টপ অর্ডার ব্যাটার।
ডি জর্জি বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করার সময় জস বাটলারের একটি শট চার হওয়া ঠেকাতে ডাইভ দেন। বল থামাতে সফল হলেও সেই সময় তিনি বাঁ পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান। চিকিৎসার জন্য মাঠ ছেড়ে যাওয়ার পর আর ফিল্ডিংয়ে ফেরেননি। জানানো হয়েছিল খুব প্রয়োজন পড়লেই শুধু ব্যাটিংয়ে নামবেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে মাত্র ১৩২ রানের টার্গেট থাকায়, ডি জর্জির আর ব্যাটিংয়ে নামার প্রয়োজন হয়নি। এখন তিনি দেশে ফিরে স্ক্যান করাবেন এবং ইনজুরির মাত্রা নির্ধারণ করা হবে।
ডি জর্জির বদলি হিসেবে আর কাউকে স্কোয়াডে ডাকা হয়নি কারণ এই ব্যাটার নিজেই ছিলেন রিজার্ভ এবং খেলেছিলেন ম্যাথিউ ব্রিটজকের জায়গায়। ব্রিটজকেও বাঁ হ্যামস্ট্রিং সমস্যায় অস্ট্রেলিয়ায় শেষ ওয়ানডে ও ইংল্যান্ডে প্রথম ম্যাচ মিস করেছিলেন। তবে, তিনি এখন সেরে উঠেছেন এবং বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় ম্যাচে খেলার জন্য প্রস্তুত। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি একাদশে ফিরে চার নম্বরে ব্যাট করবেন।
এদিকে, প্রোটিয়াদের পেস আক্রমণের ভরসা কাগিসো রাবাদার ব্যাপারে এখনো কোনও আপডেট নেই। তিনি অস্ট্রেলিয়ায় গোড়ালির ইনফ্লেমেশনজনিত কারণে ওয়ানডে খেলেননি এবং হেডিংলিতেও নামেননি। ডারহামের হয়ে খেলা কোডি ইউসুফকে স্কোয়াডে ডাকা হয়েছে, যা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে রাবাদা হয়তো টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে মাঠে ফিরবেন না।
দুশ্চিন্তা আছে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে নিয়েও, যিনি জুনে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ার পর এখনো ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকলের অধীনে আছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ায় তিনটি ওয়ানডের মধ্যে দুটি এবং ইংল্যান্ড সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলেছেন, তবে বাকি দুই ম্যাচের মধ্যে অন্তত একটিতে বিশ্রামে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিন ম্যাচ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে।
এসএস/এসএন