ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে খেলা ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরি বাংলাদেশের জার্সিতে খেলেছেন। হামজার আগমনে শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলেই আলোড়ন পড়েছে। নেপালের ফুটবলপ্রেমীরা খুব আগ্রহে ছিলেন হামজার খেলা দেখার জন্য। কিন্তু চোট ও ক্লাবের ব্যস্ত সূচির বিবেচনায় হামজা বাংলাদেশ-নেপাল প্রীতি ম্যাচ খেলছেন না।
হামজা খেলছেন না। এরপরও আজ কাঠমান্ডুতে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে হামজা প্রসঙ্গ ছিল ঘুরেফিরে। নেপালের অস্ট্রেলিয়ান কোচ ম্যাট রস বলেন, ‘হামজা থাকুক বা না থাকুক, বাংলাদেশ শক্তিশালী দল নিয়েই খেলবে। হামজার বিকল্প হিসেবে যে আছে, সেও উচ্চমানের পেশাদার খেলোয়াড়। তাই হামজার থাকা না থাকাটা আমাদের কাছে বড় কোনও সমস্যা নয়।’
নেপালের অধিনায়ক কিরণ লিম্বু এবার বাংলাদেশে পুলিশের হয়ে খেলবেন। ঢাকায় থাকতে তিনি হামজার পেনাল্টি সেভ করার আশা ব্যক্ত করেছিলেন। হামজা নেপাল না আসায় খানিকটা আক্ষেপ ঝরল তার কন্ঠেও, ‘এই দলে আমরাও হামজাকে দেখতে চেয়েছিলাম। সত্যি বলতে নেপালে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরাও তাকে দেখার জন্য মুখিয়ে ছিল। এমন বড়মাপের একজন খেলোয়াড়কে আমাদের স্টেডিয়ামে খেলতে দেখলে ভালো লাগত। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের বিপক্ষে সে খেলতে পারছে না।’
বাংলাদেশের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরাকেও হামজাকে নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘হামজা নেই, সামিতও নেই, অনেকে অনূর্ধ্ব-২৩ এ আছে। এই দলের ৯৫% খেলোয়াড়ই ছিল ২০২৩ সাফে, সেখানে আমরা দারুণ খেলেছি। এছাড়া লেবানন, ফিলিস্তিন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রায় শতভাগ খেলোয়াড়ই তখন দলে ছিল। তাই আমরা শক্তিশালী দল এনেছি, দ্বিতীয় সারির দল নয়। আমরা কঠিন প্রতিযোগিতা আশা করছি।’
এএফসি অ-২৩ টুর্নামেন্টে মোরসালিন, শ্রাবণ, আল আমিন, ফাহমিদুলরা খেলছেন। নেপালেও অনেকটা এই অবস্থা বললেন দলটির কোচ, ‘আমাদের স্কোয়াডও দেখতে হবে আপনাকে। সুমিত, সানিত, আয়ুশ, বিমল, কৃতিশ এদের কাউকেই পাচ্ছি না। অবশ্যই তাদের মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে। তবে ছেলেদের বলে আসছি ম্যাচের ফলাফলের ৯০ শতাংশ নির্ভর করছে আমাদের ওপর।’
বাংলাদেশ-নেপাল দুই দলই সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলছে মূলত অক্টোবরে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতির জন্য। এরপরও এই দু'টি ম্যাচ নিয়ে বেশ গুরুত্ব নেপালের কোচের, ‘আমরা এএফসির বাছাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলছি, কিন্তু রেফারির বাঁশি বাজার পর কাল রাতে কেবল সেই ৯০ মিনিটেই মনোযোগ থাকবে আমাদের। আমরা জেতার জন্য মরিয়া হয়ে আছি। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচের জন্য আমরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করছি আবেগী ও খুবই উচ্ছ্বসিত দর্শকের সামনে শারীরিকভাবে কঠিন এক খেলা হবে। আমার ছেলেরা মুখিয়ে আছে তার জন্য।’
ইউটি/টিএ