‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আমাদের সম্মান করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় যদি আমাদের যথাযথ সম্মান না করে, আমরা জনগণ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব’- জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে এমপি প্রার্থী সিরাজুল ইসলামের দেওয়া এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে চবি শাখার ছাত্রশিবির।
স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এই বক্তব্য দিয়েছিলেন সিরাজুল ইসলাম। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) চবি ছাত্রশিবির এক বিবৃতি দিয়ে বক্তব্য প্রত্যাখান করে।
শাখা শিবিরের প্রচার সম্পাদক মো. ইসহাক ভূঁঞা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, সিরাজুল ইসলাম ভোটের আশায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ‘অহংকারী ও অপমানজনক’ ভাষায় বক্তব্য দেন। তার এই বক্তব্য প্রকৃত সন্ত্রাসীদের অপকর্ম আড়াল করে এবং স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দায়মুক্তি দেওয়ার সমতুল্য।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকায় শান্তি বজায় রাখা, কটেজ ও বাসাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিতে স্থানীয়দের অনুরোধে ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন চবি শাখা ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদক।
তবে তিনি বক্তব্যে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিষয়ে যথাযথ ও বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে পারেননি। এ জন্য তার পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশ করছে চবি ছাত্রশিবির। সংগঠনটি তাদের অফিস সম্পাদকের বক্তব্যের বিষয়ে আরো জানায়, হাবিবউল্লাহ খালেদের বক্তব্যে শুধু বহিরাগত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের অপকর্ম ফুটে উঠলেও স্থানীয় ছাত্রদল ও বিএনপি নেতাদের সংশ্লিষ্টতা উঠে আসেনি। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নির্দেশদাতা বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য উদয় কুসুম বড়ুয়া ও ছাত্রদলের নেতারা এ ঘটনায় জড়িত থাকলেও এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি, গ্রেপ্তারও করা হয়নি।
বিবৃতিতে শিবির দাবি জানিয়েছে, এই ঘটনায় যারা সরাসরি নির্দেশ, উসকানি ও আশ্রয় দিয়েছেন, তাদের সবাইকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।
জোবরা গ্রামে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিরাজুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মালিক। আমরা জমিদার, জমিদারের ওপর কেউ হস্তক্ষেপ করবে, এটা আমরা মেনে নেব না। এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের বুকের ওপর।
আমরা এই জায়গার মালিক, তাই অন্যায় কিছু মেনে নেব না। আমাদের সম্মান করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় যদি আমাদের যথাযথ সম্মান না করে, তবে আমরা জনগণ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব’।
এসএস/টিএ