সংসদীয় আসনের সীমানার চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে আইন অনুযায়ী কোনো আদালত বা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই। একইসঙ্গে বিক্ষোভ-আন্দোলন করেও কোনো লাভ হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ৩০০ আসনের চূড়ান্ত সীমানার তালিকা প্রকাশ করে ইসি। এতে গতবারের চেয়ে অর্ধশত আসনে পরিবর্তন আনা হয়। এবার গাজীপুরে একটি আসন বাড়িয়ে বাগেরহাটে একটি কমানো হয়। এ নিয়ে গাজীপুরে আনন্দ মিছিল হলেও বিক্ষোভ-আন্দোলন চলছে বিভিন্ন নির্বাচনি এলাকায়।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, সীমানা নির্ধারণের কাজটি কমিশন নিরপেক্ষভাবে শেষ করেছে। প্রশাসনিক অখণ্ডতা, ভৌগোলিক এলাকা, সর্বশেষ আদম শুমারির কথা আইনে বলা হয়েছে। আদমশুমারির রিপোর্ট পরীক্ষা করে দেখেছি৷ কিছুটা অসামঞ্জস্য রয়েছে বিতর্ক রয়েছে। গত ১৬ জুনের আপডেট ভোটার সংখ্যার ওপর ৬৪ জেলার ভোটার সংখ্যা, এভারেজ সংখ্যা, টোটাল সংখ্যা পরীক্ষা করে ঠিক করা হয়েছে যে কোথায় খুব বেশি, কোথায় খুব কম। সেটা বিবেচনায় নিয়ে খসড়াটা করি। সেই খড়ার ওপর দাবি-আপত্তি আসলে, শুনানি করে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আদম শুমারির যাতে গ্যাপ না থাকে সেজন্য ভোটার সংখ্যাকেও বিবেচনায় নেওয়ার হয়েছে। ৪৬-৫০টি আসনেও পরিবর্তন হতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, সীমানা নিয়ে আন্দোলন কারা করছে, কেন করছে, তারা কী বলতে চাচ্ছে আমরা সেটা এখনো জানি না। কেননা, আঞ্চলিকতা, রাজনৈতিক বিষয়, স্থানীয় বিষয় থাকে। কমিশন সর্বোচ্চ সতর্কতা নিরপেক্ষতা এবং যৌক্তিক বিবেচনায় নিয়ে সীমানা নির্ধারণ করেছে। সীমানার চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে কোনো আদালতে কোনো অভিযোগ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
সীমানা নির্ধারণে প্রায়োরিটি কোনটা দিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোথাও প্রশাসনিক বিষয় একমাত্র নিলে এক ধরনের সমস্য হয়৷ আবার ভৌগোলিক বাদ দিলে একরকম সমস্যা হয়৷ কাজেই সবকিছুই বিবেচনা নেওয়া হয়েছে।
গাাজীপুরে বাড়লে বাগেরহাটে কমল কেন- এমন প্রশ্নেন জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার জানান, ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি ছিল গাজীপুরে, কম বাগেরহাটে। ৪ লাখ ২০ হাজার ছিল গড়। এটা ধরলে বাগেরহাটে কমই থাকে৷ ক্ষেত্র বিশেষে ভোটার সংখ্যা আমলে নেওয়া হয়েছে। আমরা বিব্রত নই। শতভাগ ত্রুটিমুক্ত করার চেষ্টা করেছি।
কোথাও আনন্দ কোথাও বিক্ষোভ চলছে, এ বিষয়ে কী বলবেন এমন প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, আইনের ভাষায় কোনো লাভ আছে বলে মনে হয় না।
এসএস/টিকে