প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে কর্মমুখী ও দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার জন্য কর্মমুখী ও দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।

আগামীকাল সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আজ রোববার দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ৮ সেপ্টেম্বর ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৫’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। সাক্ষরতা একটি জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য অতি প্রয়োজনীয় উপাদান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যেখানে প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের সুযোগ সবার জন্য, বিশেষ করে নারী, শিশু, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। শিক্ষকদের ডিজিটাল প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীদের হাতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি এবং অভিভাবকদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনার জন্য আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর এই আধুনিক পৃথিবীতে সাক্ষরতার ধারণা আজ শুধু পড়া-লেখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ডিজিটাল জ্ঞান, তথ্য ব্যবহারের দক্ষতা এবং প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষায় অংশগ্রহণের সক্ষমতা।

ড. ইউনূস বলেন, ‘এখন তথ্য খুঁজে বের করা, বিশ্লেষণ করা, অনলাইনে শেখা ও দৈনন্দিন সমস্যার সমাধান খোঁজা—এসবই কার্যকর সাক্ষরতার অংশ। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে যারা পিছিয়ে পড়ছে, তারা কেবল শিক্ষাবঞ্চিতই নয়, বরং সমাজ ও অর্থনীতির মূল স্রোত থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘প্রযুক্তির যুগে সাক্ষরতার প্রসার’ সময়োপযোগী ও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নতুনভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। আসুন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করি, যেখানে প্রযুক্তি ও সাক্ষরতার সম্মিলিত শক্তিতে গড়ে উঠবে একটি জ্ঞানভিত্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মানবিক সমাজ।’

বাণীতে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এমআর/এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ক্যান্সারের খবর শুনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেঁদেছিলেন সঞ্জয় Sep 08, 2025
img
কোনো মব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধাদের ছোট করার কোনো সুযোগ নেই : সেনা সদরের ব্রিফিং Sep 08, 2025
img
ছেলের অভিযোগ সামরিক হেফাজতে হৃদরোগে ভুগছেন সু চি! Sep 08, 2025
img
রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে আইডি ডিজেবল করা হচ্ছে : আবিদুল ইসলাম Sep 08, 2025
চুপিসারে প্রেম! পরিচালক রাজকে নিয়েই কি সামান্থার নতুন জীবন? Sep 08, 2025
img
নেপালে বিক্ষোভে ভয়াবহ সহিংসতা, রাজধানীতে সেনা মোতায়েন : নিহত ৮ Sep 08, 2025
img
মায়ের ছায়া পেরিয়ে নিজের পথ খুঁজছেন জাহ্নবী! Sep 08, 2025
img
তুরস্কে পাসপোর্ট হারিয়ে বিপাকে ইয়ামাল! Sep 08, 2025
img
হাটহাজারীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উত্তেজনা, প্রত্যাহার ওসি Sep 08, 2025
img
ডাকসু নির্বাচনে বন্ধ থাকবে মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন Sep 08, 2025
ডাকসু নির্বাচনে সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লি'ষ্টতা নেই: আইএসপিআর Sep 08, 2025
ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদকে এক নজর দেখতে ঢাকায় ভক্ত Sep 08, 2025
গানেই শেষ দিনের প্রচারণা সেরেছেন হেমা চাকমা Sep 08, 2025
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর কোনো শক্তি পৃথিবীতে নেই মন্তব্য প্রেস সচিবের Sep 08, 2025
img
ফেসবুক আইডি গায়েব করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে : উমামা Sep 08, 2025
img
তরুণদের বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল, কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি Sep 08, 2025
img
ময়লা পরিষ্কার করতেই কটাক্ষের শিকার অক্ষয়! Sep 08, 2025
img
ডাকসু নির্বাচনে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই : সেনাসদর Sep 08, 2025
img
চীনে সেদিন বৃষ্টি ছিল তাই ছাতা সাথে নিয়ে গেছি : আখতার হোসেন Sep 08, 2025
img
জুঁই ফুলের মালার জন্য অভিনেত্রীর লাখ টাকা জরিমানা! Sep 08, 2025