ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সমর্থিত প্রার্থীদের পরিচয় প্রকাশ্যে এসেছে। ভিপি পদে শামীম হোসেনসহ কেন্দ্রীয় সংসদের ২৮টি পদে একাধিক পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার গণমাধ্যমের হাতে আসা কিছু মেসেজ স্ক্রিনশট ঘিরে এই তথ্য স্পষ্ট হয়। একটি স্ক্রিনশটে দেখা যায়, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আহ্বায়ক ড. আকম জামাল উদ্দিন নিজেই এসব প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়ে বার্তা ফরোয়ার্ড করেছেন। বার্তায় তিনি প্রার্থীদের নাম ও ব্যালট নম্বর উল্লেখ করে ভোট চাওয়ার আহ্বান জানান।
স্ক্রিনশটে দেখা যায়, ভিপি পদে শামীম হোসেন, জিএস পদে আরাফাত চৌধুরী, এজিএস পদে জাবির আহমেদ জুবেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মমিনুল ইসলাম বিধান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে শাকিব মাহমুদকে বিজয়ী দেখতে চান আকম জামাল।
এছাড়া ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে রাজিন হোসেন বা রাফিজ খানের নামও বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে। সমাজসেবা সম্পাদক পদে আশরাফুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক পদে রিয়াজ মাতুব্বর, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে আয়ান আব্দুল্লাহ, নূমান আহমাদ চৌধুরী, বি এম ফাহমিদা আলম, কমন রুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে সুর্মী চাকমা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে লানজু খান, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে মিনহাজুল ইসলাম ফারহান, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে আকাশ আলী, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে জান্নাতুন নাহার এবং ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে মাহামুদ হাসানকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেওয়া হয়েছে আনিয়া আক্তার, আবিদ আব্দুল্লাহ, উপাইমং পৃথিং, এস. এম. তামিম বিন অপূর্ব, ওয়াকার রহমান সৌরভ, মাহবুবুর রহমান, আব্দুল কাদির জিলানী, আরিফুল ইসলাম রনি, জাহিদ হাসান, তাফসিরুল ইসলাম তুশিন, নাইমুর রহমান দূর্জয়, নেওয়াজ শরীফ (আরমান), হাসীব আল হাসান এবং সোমানন্দ বড়ুয়া সৌরভকে।
এর আগে থেকেই ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের গোপন সমর্থন নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছিল। আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক সমর্থনপ্রাপ্ত এই প্রার্থীদের অনেকে আগেই সন্দেহের তালিকায় ছিলেন। সাম্প্রতিক এই স্ক্রিনশট ফাঁসের পর অভিযোগটি নতুন করে স্পষ্ট হলো।
এসএন