সহিংস বিক্ষোভে সরকারি দপ্তর ও রাজনৈতিক নেতাদের বাসভবন আক্রান্ত হওয়ার প্রেক্ষাপটে নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওডেল জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি প্রত্যেককে, বিশেষ করে আন্দোলনরত নাগরিকদের, দেশের এই কঠিন পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাই।’
প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ‘আমি সব পক্ষকে অনুরোধ করছি সংযম প্রদর্শন করতে, যাতে আর কোনোভাবে দেশের ক্ষতি না হয় এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজা যায়।’
আন্দোলনকারীরা পাওডেলের কার্যালয়, সংসদ ভবন ও একাধিক রাজনৈতিক নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করার পর এই বিবৃতি এলো। এর আগে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা প্রেসিডেন্ট পাওডেলের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
নেপালের একাধিক মন্ত্রীও পদত্যাগ করেছেন। নেপালের কৃষি ও পশুপালনমন্ত্রী রাম নাথ অধিকারী ও পানি সরবরাহমন্ত্রী প্রদীপ যাদব মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন। এর আগে সোমবার বিক্ষোভ দমনে পুলিশের গুলি চালানো ও ব্যাপক হতাহতের ঘটনায় সরকারের সমালোচনা বাড়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক পদত্যাগ করেন। বিক্ষোভকারীরা মন্ত্রীদের বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। সেনাবাহিনী হেলিকপ্টারের মাধ্যমে বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে সরিয়ে নিয়েছে।
এ ছাড়া নেপালে দেশব্যাপী তরুণদের বিক্ষোভ অব্যাহত থাকায় অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র জ্ঞানেন্দ্র ভুল বিবিসিকে বলেছেন, ‘নেপালের রাজধানীর বাইরের বিমানবন্দরগুলো নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায়, ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে সোমবার ১৯ জন নিহত হওয়ার পর জারি করা কারফিউ অমান্য করে নেপালজুড়ে বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করেছে।
ইউটি/টিএ