২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করল মিশর। বুরকিনা ফাসোর মাঠে গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ করায় এখনো অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে সালাহদের। জয় পেলেই দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই জায়গা পাকা হয়ে যেত হোসাম হাসানের দলের।
উগাডুগুতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ৬৬ মিনিটে ওসামা ফাইসালের গোলেই মনে হচ্ছিল কাঙ্ক্ষিত জয় পেতে চলেছে মিশর। তবে সঙ্গে সঙ্গেই অফসাইড পতাকা উঠলে গোল বাতিল হয়ে যায়।শুরুর দিকেই বড় ধাক্কা খায় মিশর। মাত্র ৯ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ওমর মারমুশ। লিভারপুল তারকা মোহাম্মদ সালাহও ছিলেন ফিকে, ফলে আক্রমণে ধার হারায় দল।
এর আগে শুক্রবার রাতে কায়রোতে ইথিওপিয়াকে ২-০ গোলে হারাতে প্রথমার্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করেছিলেন সালাহ ও মারমুশ। কিন্তু বুরকিনার বিপক্ষে ওপেন প্লে থেকে সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় মিশর। এদিন গ্রুপ পর্বে প্রথমবার গোলশূন্য থাকল তারা।
ট্রেজেগে অবশ্য চেষ্টা করেছিলেন, ম্যাচের একমাত্র দুটি অন টার্গেট শট আসে তার পা থেকে। তবে সালাহ ও ট্রেজেগের মতো তারকা ফরোয়ার্ডদের নিয়েও জালের দেখা পায়নি মিশরীয়রা।
অন্যদিকে, প্রথমবার নিজেদের সংস্কারকৃত স্টেডিয়ামে খেলতে নামা বুরকিনা ফাসো দুটি অর্ধেই হেড থেকে গোলের সুযোগ তৈরি করে। প্রথমার্ধে এডমন্ড টাপসোবার হেড একটু উঁচু দিয়ে যায়, আর শেষ দিকে দাঙ্গো ওয়াত্তারার প্রচেষ্টা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
ড্রয়ের ফলে গ্রুপে শীর্ষে থাকলেও এখনো বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করতে পারেনি মিশর। পাঁচ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকা বুরকিনা ফাসো টিকে আছে সমীকরণে। তবে তাদের জিততে হবে বাকি দুই ম্যাচে, একইসঙ্গে মিশরকে হারতে হবে দুর্বল প্রতিপক্ষ জিবুতি ও গিনি-বিসাউয়ের বিপক্ষে।
হোসাম হাসান চেয়েছিলেন সেই মাঠে কোয়ালিফিকেশন উদযাপন করতে, যেখানে অধিনায়ক হয়ে ১৯৯৮ আফ্রিকা কাপ অব নেশনস জিতেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো তাকে।
রেকর্ড সাতবার আফ্রিকা কাপ জয়ী মিশর এর আগে মাত্র তিনবার খেলতে পেরেছে বিশ্বকাপে-১৯৩৪, ১৯৯০ এবং ২০১৮ সালে। এবারও স্বপ্ন পূরণে অপেক্ষা বাড়ল তাদের।
এসএস/এসএন