ছাত্রশিবিরের ‘বেঈমানি’ ইতিহাসে লেখা থাকবে: উমামা

“কারচুপির নির্বাচনের জন্য ১৪০০ মানুষ মরছে! একি ইতিহাস, একি ব্যবস্থা। মাঝে দিয়ে এতগুলা পরিবার নিঃস্ব হলো,” অভিযোগ জুলাই গণঅভ্যুথানে সক্রিয় থাকা এই আন্দোলনকারীর।

গভীর রাতে ভোট বর্জনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা অভিযোগ করে বলেছেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের 'বেঈমানি' ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।

মঙ্গলবার নির্বাচনের পর ভোর পৌনে ৬টায় ফেইসবুক পোস্টে তিনি বলেন, "অভিনব পন্থায় নির্বাচন কারচুপি হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসের কালো রাত হয়ে থাকবে।" জুলাই গণঅভ্যুথানে সক্রিয় ভূমিকা রাখা উমামা বলেন, "কারচুপির নির্বাচনের জন্য ১৪০০ মানুষ মরছে! একি ইতিহাস, একি ব্যবস্থা। মাঝে দিয়ে এতগুলা পরিবার নিঃস্ব হলো। "নিজেদের হীনস্বার্থের জন্য ইসলামি ছাত্রশিবির কি পরিমাণ বেঈমানি করেছে জাতির সাথে তা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।"

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের আবু সাদেক কায়েম ভিপি ও এসএম ফরহাদ বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে জিএস হওয়ার পথে। বেশিরভাগ হলগুলোতে তারা প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি ভোট পেয়েছেন। তবে ছাত্রশিবির এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ভোট শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাদের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন হওয়ার কথা তুলে ধরে বলেন, কেউ কেউ নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে। যারা নির্বাচন বানচাল করতে চান, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে আরেকটি ফেইসবুক পোস্টে কারচুপির অভিযোগ তুলে ডাকসু নির্বাচনের ফল বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি। তিনি লেখেন, “বয়কট! বয়কট! ডাকসু বর্জন করলাম। সম্পূর্ণ নির্লজ্জ কারচুপির নির্বাচন।"

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া উমামা আরও লেখেন, “৫ অগাস্টের পর জাতিকে লজ্জা উপহার দিল ঢাবি প্রশাসন। শিবির পালিত প্রশাসন।” উমামার আগে ফল প্রত্যাখ্যান করেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান।

নির্বাচনে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল থেকে প্রার্থী হন উমামা। এ প্যানেলের জিএস প্রার্থী ছিলেন আল সাদী ভূঁইয়া। জাহিদ আহমেদ লড়েন এজিএস পদে।

এসএস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গণতান্ত্রিক চর্চায় পরাজয় মানতে আপত্তি নেই: জিএস প্রার্থী বাকের Sep 10, 2025
img
‘ভারতের ধারে-কাছেও কেউ নেই, বাংলাদেশকে নিয়ে কথাই বলি না’ Sep 10, 2025
img
মেয়ের জন্মদিনে নিজের হাতে কেক বানালেন দীপিকা Sep 10, 2025
img
আমেরিকান শোতে জিমি ফ্যালনকে পাঞ্জাবি নাচ শেখালেন পাঞ্জাবি গায়ক Sep 10, 2025
img
হজের নিবন্ধনের শেষ সময় ১২ অক্টোবর, বাড়বে না সময় Sep 10, 2025
img
আবিদ আপনাদের কখনো ছেড়ে যাবে না: আবিদুল ইসলাম Sep 10, 2025
img
কাতারে হামলা নিয়ে মস্কো ও বেইজিংয়ের নিন্দা Sep 10, 2025
img
অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষ : আসাদুজ্জামান রিপন Sep 10, 2025
img
প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্রের গানে অভিষেক হলো কাজী শুভর Sep 10, 2025
img
পান্থকুঞ্জ–হাতিরঝিলে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ Sep 10, 2025
img
এনসিপি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ Sep 10, 2025
img
নতুন কোন কোন দল নিবন্ধন পাবে, জানা যাবে বৃহস্পতিবার Sep 10, 2025
img
ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ীদের জামায়াত আমিরের অভিনন্দন Sep 10, 2025
img
নেপালের নিরাপত্তার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে সেনাবাহিনী Sep 10, 2025
img
ভেবেছিলাম সবাই আমার, আসলে কেউই আর আমার নেই : পপি Sep 10, 2025
img
আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনের হুমকিতে ভীত বলিউড, একাই লড়েছিলেন প্রীতি Sep 10, 2025
img
মেরুদণ্ড সোজা রেখে স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিয়েছেন ঢাবি ভিসি: সারজিস আলম Sep 10, 2025
img
অশান্ত নেপাল, সেনা নিয়ন্ত্রণে কাঠমান্ডু বিমানবন্দর Sep 10, 2025
img
থমথমে কাঠমান্ডু, আটকে পড়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দল Sep 10, 2025
img
নেপালে বিক্ষোভের সুযোগে কারাগার থেকে পালালেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী Sep 10, 2025