সঞ্জয়ের নামে ১৫৯ কোটি টাকার সম্পত্তি লিখে গেলেন ভক্ত

বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। ব্যক্তিগত জীবনে অভিনেতা সুনীল দত্ত ও নার্গিসের সন্তান তিনি। ১৯৮১ সালে ‘রকি’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখেন। ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমাই হিট।

তারপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৩৫টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছে সঞ্জয় দত্ত। বলিউড সাঞ্জু বাবা নামেই পরিচিত তিনি। তার একসময়ের ‘চকলেট বয়’ ইমেজ বহু তরুণীর হৃদয়ে ঝড় তুলেছিল।

এমনকী নারীদের কাছে সাঞ্জু বাবার ক্রেজ এমন ছিল যে এক নারী ভক্ত নিজের মৃত্যুর সময় ১৫৯ কোটি টাকার সম্পত্তি লিখে দিয়ে যান তার নামে!

সঞ্জয় এই ঘটনা এর আগেও একাধিকবার শেয়ার করেছেন। সম্প্রতি কপিল শর্মার শো’তে হাজির হন সঞ্জয় দত্ত ও সুনীল শেঠি। সেখানে তিনি এই গল্পটি আরেকবার বলেন। সঞ্জয় জানান, হঠাৎ থানা থেকে ফোন পেয়েছিলেন তিনি।

পুলিশ তাঁকে জানায়, নিশা পাতিল নামের এক নারী ১৪ দিন আগে প্রয়াত হয়েছেন। তিনি সঞ্জয়ের নামে লিখে রেখে গিয়েছেন ১৫৯ কোটি টাকার সম্পত্তি, যার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ মুম্বাইয়ের একটি বাড়ি। সেই খবর শুনে হতভম্ব অভিনেতা! স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, সব সম্পত্তি মৃতার পরিবারকেই দেওয়া উচিত। যদিও ব্যাঙ্ক থেকে জানানো হয়, নমিনি হিসাবে সঞ্জয় দত্তের নামই উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর পালি হিলের বাসভবনও ব্যাঙ্ক ডিটেলসে রয়েছে।

এর পর কী করলেন সঞ্জয়? তিনি বলেন, ‘আমাদের মতো অভিনেতার নামে লোকে সন্তানের নাম রাখেন, রাস্তায় পিছু নেন, উপহারও পাঠান। কিন্তু এই ঘটনা আমাকে হতবাক করেছে। আমি তাকে চিনি না। কিন্তু তিনি যা করেছেন তার পর আমি বাক্যহারা। সম্পত্তির এক কণাও আমি দাবি করব না।’

এর পর আইনজীবীরা যোগাযোগ করলেও সঞ্জয় একই কথা বলেন। শেষমেশ মধ্যস্থতা করতে চেয়ে বলেন, ‘সম্পত্তির অধিকার যাতে পরিবার পায় তার জন্য আমি যে কোনও আইনি পথে হাঁটতে রাজি আছি।’

সঞ্জয় দত্ত বলিউড অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয়। ব্যক্তিগত জীবনে সঞ্জয় দত্ত নিজেই ৩০০ কোটি টাকার মালিক। ছবি পিছু তিনি ৮-১৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন বলে জানা যায়। তাঁর মুম্বাই ও দুবাইতে বাড়ি ও গাড়ি সবই রয়েছে। একটি হুইস্কি ব্র্যান্ডের মালিক তিনি, আবার এক ক্রিকেট দলেরও সহ-মালিক। রয়েছে আরও একাধিক ব্যবসা। বর্তমানে বলিউডের পাশাপাশি দক্ষিণের সিনেমাতেও সমানতালে কাজ করছেন সঞ্জয় দত্ত।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নাটকীয় বন্দুকযুদ্ধে কারাগারে কনস্টেবল, গুলিবিদ্ধ দুই শিবির নেতা Sep 10, 2025
img
শিবির প্যানেলের বাইরেও ডাকসুতে বিজয়ী এই ৫জন Sep 10, 2025
img
কাতারে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাল বাংলাদেশ Sep 10, 2025
img
ডাকসুতে জিতে সবাইকে ধন্যবাদ জানালেন জুলাই আন্দোলনের সেই তন্বি Sep 10, 2025
img
জাতীয় নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ও বডি ক্যামেরা চায় না ইসি Sep 10, 2025
img
বিচারকের কাছে অনুরোধ করে ‘বিষ’ চাইলেন অভিনেতা Sep 10, 2025
ব্যাচেলর পয়েন্টের প্রেস কনফারেন্সে যা বললেন মুশফিকুর রহমান মনজু Sep 10, 2025
img
মাদককাণ্ডে নাম জড়ানোর অভিযোগকে ভিত্তিহীন বললেন সাফা কবির Sep 10, 2025
img
বার্সার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে রাজনীতির মাঠে নামছে মেসি! Sep 10, 2025
img
আমি বরাবরই খুব ইমোশনাল: শ্রাবন্তী Sep 10, 2025
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে যা বললেন ফারুকী Sep 10, 2025
img
লুটপাট, হামলা বন্ধ করুন : নেপালের সেনাপ্রধান Sep 10, 2025
img
বিশ্বকাপের আগে বাছাইপর্বের ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স ব্রাজিলের Sep 10, 2025
img

ডাকসু নির্বাচন

ছাত্রদল প্রার্থীদের পক্ষে পোস্ট করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওসি প্রত্যাহার Sep 10, 2025
img
ডাকসুতে বিজয়ী শিবির প্যানেলকে ২ দাবি উপস্থাপন করলেন মির্জা গালিব Sep 10, 2025
img
শেখ হাসিনার মামলায় ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেবেন মাহমুদুর রহমান-নাহিদ Sep 10, 2025
img
ডাকসু নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে : চিফ প্রসিকিউটর Sep 10, 2025
img
বহুজাতিক কোম্পানির অর্থপাচার রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর নজর Sep 10, 2025
img
নেপালে দেশজুড়ে কারফিউ ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি Sep 10, 2025
img
বাংলাদেশ নিয়ে ভুল বার্তা দেয়া হচ্ছে, আমরা ভালো আছি : জয়া Sep 10, 2025