জ্বালানি তেলের ঠিকাদারি কাজ দেয়ার বিনিময়ে ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌসংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক (মেরিন) মো. আব্দুর রহিম এবং উপ-পরিচালক মো. ওবায়দুল করিম খানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কাজী আরিফ বিল্লাহর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিআইডব্লিউটিএর নৌসংরক্ষণ এবং পরিচালন বিভাগের জ্বালানি তেলের ঠিকাদারি কাজ দেয়ার বিনিময়ে উৎকোচ লেনদেন সংক্রান্ত একটি ঘটনা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নজরে এসেছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে বিআইডব্লিউটিএর নৌসংরক্ষণ এবং পরিচালন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক (মেরিন) মো. আব্দুর রহিম এবং উপ-পরিচালক মো. ওবায়দুল করিম খানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সেসইসঙ্গে ওই ঘটনা তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গত ২৭ জুলাই ঠিকাদারি কাজে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও হাতে পায় দুদক। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএর কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সংস্থাটি জানায়, জ্বালানি তেলের ১৭ কোটি টাকার কাজ পেতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বীনা থেকে ২ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জ শাখার সিপিএস ওবায়দুল করিম।
সেখানে মধ্যস্ততা করেন টেন্ডার কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত পরিচালক আব্দুর রহিম। চক্রে সদস্য হিসেবে কাজ করেন পরিচালক মো. শাহজাহানসহ কয়েকজন।
কেএন/টিএ