এবার মিয়ানমারে বিদ্রোহীগোষ্ঠীগুলোকে আত্মসমর্পণ করে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে জান্তা সরকার। পাশাপাশি অস্ত্র সমর্পণকারীদের ক্ষতি করা হবে না বলেও দাবি তাদের।
তবে জান্তার এ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে প্রধান বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। এরই মধ্যে আর আগস্ট মাসে জান্তার দমননীতিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭৩ নারী। বার্মিজ উইমেনস ইউনিয়নের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য।
প্রায় প্রতিদিনই তীব্র হচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর দমন পীড়ন। সম্প্রতি দেশটির সাগাইং অঞ্চলের তিগইয়াং উপশহরে জান্তার বিমান হামলা ও নৌবহরের গোলাবর্ষণে হতাহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক। এতে আতঙ্কিত স্থানীয় জনগণ।
এর আগে গত আগস্ট মাসেই মিয়ানমারের সামরিক জান্তার দমননীতিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭৩ নারী। বিমান হামলা, গোলাবর্ষণ, গ্রেফতার আর হত্যার ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন অপ্রাপ্তবয়স্করাও। বার্মিজ উইমেনস ইউনিয়নের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভয়াবহ এ চিত্র।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিমান হামলার মাত্রা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। তবে মাঠপর্যায়ের তথ্য আর গণমাধ্যম সূত্রে প্রণীত এ প্রতিবেদন পুরো চিত্র নয়, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
বার্মিজ উইমেনস ইউনিয়নের অভিযোগ, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতা দখলের পর থেকে জান্তা বাহিনী ধারাবাহিকভাবে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ আর মানবাধিকারের ভয়াবহ লঙ্ঘন করে আসছে।
এরই মধ্যে নির্বাচনকে সামনে রেখে সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে আত্মসমর্পণ ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যোগ দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে জান্তা সরকার। গত কয়েক মাস ধরে জনগণের প্রতিরক্ষা বাহিনী পি.ডি.এফ ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর মোবাইলে ক্ষুদেবার্তা পাঠাচ্ছে তারা।
বার্তায় বলা হচ্ছে, গণতন্ত্র ও ফেডারেল ব্যবস্থার ভিত্তিতে ইউনিয়ন গঠনের স্বার্থে তাদের আইনের ভেতরে ফিরে আসতে হবে। অস্ত্র সমর্পণকারীদের ক্ষতি করা হবে না বলেও দাবি করছে সামরিক সরকার। তবে নির্বাচনকে ভুয়া আখ্যা দিয়ে জান্তার পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে প্রধান বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো।
ইএ/টিকে