জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। ৩৩ বছর পর হওয়া এ নির্বাচনে ভোট দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণের শুরুতে ভোটার কম থাকলেও সময়ের সঙ্গে বাড়ছে উপস্থিতি। প্রথম কয়েক ঘণ্টায় কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম।
২১টি ভোট কেন্দ্রে মোট ১১ হাজার ৮৯৭ জন শিক্ষার্থী ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১১৫ জন এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ জন। জানা যায়, সকাল পৌনে ১১টা পর্যন্ত ১০ নম্বর ছাত্র হলে ভোট দেন মাত্র ২৮ জন। কবি নজরুল হলে প্রথম ৪৫ মিনিটে ভোট পড়ে ১২টি। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শহীদ রফিক-জব্বার হল কেন্দ্রে মোট ৬৫০ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দেন মাত্র ১৩ জন। শহীদ সালাম-বরকত হল কেন্দ্রে ২৯৯ জন ভোটারের মধ্যে প্রথম এক ঘণ্টায় ভোট পড়েছে মাত্র ২৩টি।
শহীদ রফিক-জব্বার হল কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান ভূঞা জানান, ব্যালট পেপারে স্বাক্ষর নিতে কিছুটা সময় লাগায় ভোটগ্রহণে কিছুটা দেরি হয়েছে।
শহীদ সালাম-বরকত হল কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম মওদুদ আহমেদ বলেন, আমরা আশা করছি, ধীরে ধীরে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে এবং একটি সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হবে।
এবারের নির্বাচনে মোট ১১ হাজার ৮৯৭ জন শিক্ষার্থী ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১১৫ জন এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ জন। ভোটগ্রহণের জন্য ২১টি কেন্দ্রে ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
ছাত্রদের হলের মধ্যে আল বেরুনী হলে ভোটার ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জন, ১০ নম্বর ছাত্র হলে ৫২২ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হলে ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন ভোটার রয়েছেন।
ছাত্রীদের হলের মধ্যে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হলে ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১ জন, রোকেয়া হলে ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন ভোটার রয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫ পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১৭৭ জন প্রার্থী। নির্বাচনে বামপন্থি, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত মিলিয়ে সর্বমোট আটটি প্যানেল অংশগ্রহণ করবে। ছাত্রদের ১১টি ও ছাত্রীদের ১০টি হল মিলিয়ে মোট ২১ ভোটকেন্দ্র ঠিক করা হয়েছে।
ভোটগ্রহণের জন্য ২১টি কেন্দ্রে ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচনে ৬৭ জন পোলিং অফিসার (শিক্ষক) এবং ৬৭ জন সহায়ক পোলিং অফিসার (কর্মকর্তা) নিয়োগ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ভোট গণনা করা হবে।
নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ১৫০০ পুলিশ, সাত প্ল্যাটুন বিজিবি ও পাঁচ প্ল্যাটুন আনসার ক্যাম্পাসের পরিসীমায় মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ক্যাম্পাসে যে কোনো অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবিলায় আনসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ক্যাম্পাসে ও ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করবেন।
এসএস/এসএন