তিনি মনে করেন সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি বোলিং। বিশেষ করে পেস বোলিং আক্রমণে মুস্তাফিজুর রহমানের ধারাবাহিক বোলিং পারফরম্যান্স বিশেষ করে চোখে পড়েছে পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়কের। তা ছাড়া নতুন বলে তাসকিন ও শরিফুলের বোলিং বাংলাদেশকে বাড়তি শক্তি যোগাবে বলে বিশ্বাস মিসবাহর।
তিনি বলেন, 'তাহলে তাদের সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট হলো তাদের বোলিং। যদি তাদের ফাস্ট বোলারদের দেখি... মুস্তাফিজ, অন্যতম সেরা, বিশেষ করে যখন সাদা বলের ক্রিকেটের কথা আসে... নতুন বলে এবং মাঝে এসে, তারপর ডেথ ওভারে এসে যে স্লোয়ার বা ইয়র্কার করে। তারপর তাসকিন খুব ভালো ফর্মে আছে, নতুন বলে যেভাবে সে বল করে, সে একজন উইকেট শিকারি বোলার। শরিফুল ইসলামও খুব ভালো বোলিং করছে।'
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং আক্রমণে এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সর্বশেষ এশিয়া কাপের দলে সাকিব আল হাসান মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো তারকারা ছিলেন। সেই সময় বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ এতোটা ভালো ছিল না বলে দাবি মিসবাহর।
তিনি বলেন, 'একটা সময়ে তাদের পাঁচ-ছয়জন ব্যাটসম্যান ছিল, যখন সাকিব ছিল, যখন তাদের উইকেটকিপার ছিল, তারপর তামিমের মতো খেলোয়াড় ছিল। তারা অনেকদিন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেছে। তখন ব্যাটিংয়ে তাদের অবদান দুর্দান্ত ছিল। সেই সময়ে বোলিং অতটা ভালো ছিল না। কিন্তু এখন আমি মনে করি বাংলাদেশের বোলিং বেশি ভালো, ব্যাটিংটা দুই-তিনজন খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে। তারা যদি পারফর্ম করে ফেলে, তাহলে এরা যেকোনো দলকে সমস্যায় ফেলতে পারে।'
পারভেজ হোসেন ইমনের অধারাবাহিক পারফরম্যান্স নিয়েও সমালোচনা করেছেন মিসবাহ। তিনি মনে করেন একটি সেঞ্চুরি ও দুটি হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলা একজন ব্যাটারের ব্যাটিং গড় অন্তত ৩০ হওয়া উচিত। সেই জায়গায় ইমনের ব্যাটিং গড় মাত্র ২৩। এই বিষয়টি অবাক করেছে সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ককে।
এ প্রসঙ্গে মিসবাহ যোগ করেন, 'পারভেজ হোসেন ইমন, ১৯টি ম্যাচ খেলে একটি ১০০ ও দুটি ৫০ করেছে, কিন্তু তারপরেও সেই ধারাবাহিকতা নেই। গড় ২২ আর স্ট্রাইক রেট ১৩৭। যখন একজন খেলোয়াড় একটি ১০০ এবং দুটি ৫০ করে, তখন তার গড় অন্তত ৩০ বা তার বেশি হওয়া উচিত...'
ইএ/টিএ