ফুটবলারদের মেন্টাল কোচিং করাবে বাফুফে

টানা তিনদিন কাঠমান্ডুতে হোটেলবন্দি থাকার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন জাতীয় দলের ফুটবলাররা। নেপালের সার্বিক পরিস্থিতিতে ফুটবলারদের মানসিক ধকল গেছে। কয়েকটি দিন তারা দুশ্চিন্তার মধ্যে দিয়ে কাটিয়েছেন। ফুটবলারদের ট্রমা কাটাতে বিশেষ মেন্টাল কোচিং করানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।

কুর্মিটোলা সামরিক বিমানবন্দরে ফুটবল দলকে স্বাগত জানানোর পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

‘এমন একটা পরিস্থিতির পর ফুটবলারদের যাদের যাদের প্রয়োজন হয় তাদের জন্য মেন্টাল কোচিং বা সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট দেবো। যাদের প্রয়োজন হবে না তারপরও তাদের অবস্থাও আমরা দেখবো। এমন ট্রমার সময় ফিজিক্যাল ইনজুরিও হতে পারে, যেটা বোঝা যায় না। সে বিষয়টিও আমরা দেখবো’- বলেছেন তাবিথ আউয়াল।

বাফুফে সভাপতি বলেছেন, ‘নেপালে যখন ফুটবলাররা ছিলেন আমরা তখন জানতাম না সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন ছিল। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছিলাম অনেক ভাংচুর-অগ্নিসংয়োগ হয়েছে। আমরা শুনেছি, বাংলাদেশ হোটেলের কাছাকাছি একটা ভবনে আগুন দেওয়া হয়েছিল। তখন আমরা বিকল্প নিরাপদ স্থান খোঁজার চেষ্টায় ছিলাম। দলকে যদি ওই হোটেল ত্যাগ করতে হয়, তাহলে কোথায় যাবে? আমরা বিকল্প দুটি জায়গা ঠিক করে রেখেছিলাম। তারপর আমাদের হাতে ছিল বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিশেষ ফ্লাইট। যখন কাঠমান্ডুর বিমানবন্দর খুলে দেওয়া হয়েছে তখন আমরা কুটনৈতিক চ্যানেলে যোগাযোগ করছিলাম। বিমানবন্দরে নিরাপদ অবতরণ, আবহাওয়া এসব বিষয়ই বিবেচনায় ছিল বেশি। বিশেষ করে বড় ফ্যাক্টর ছিল আবহাওয়া। যেখানে কারো হাত থাকে না। এসব বিষয় নিরাপদ নিশ্চিত হওয়ার পর বাংলাদেশ বিমানবাহিনী দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফুটবলারদের নিয়ে এসেছে।’

খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংবাদিকদের এক পরিবারের সদস্য উল্লেখ করে বাফুফে সভাপতি বলেছেন, ‘আমরা কিন্তু ফেরত আনার জন্য ফুটবল দলের সাথে গণমাধ্যমের সবাইকেও যুক্ত করেছি। কারণ, আমরা মনে করি, সবাই একই পরিবারের। এ কয়টি দিন আমরা ২৪ ঘণ্টা কাজ করছিলাম। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা, সেনাবাহিনী প্রধান, বিমানবাহিনী প্রধানের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল। তারাও সব সময় বিষয়টি মনিটরিং করেছেন। আল্লাহর রহমতে আমরা সফলভাবে নেপাল থেকে সবাইতে ফেরত আনতে পেরেছি।’

ইএ/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের কোন বিকল্প আমাদের হাতে নেই: প্রধান উপদেষ্টা Sep 12, 2025
img
লিটনের ফিফটিতে হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের Sep 12, 2025
img
চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাছিরের মামলা চলতে বাধা নেই Sep 12, 2025
img
কাতারে ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের জানাজায় কাতারের আমির Sep 11, 2025
img
ঝিনাইদহে ১১ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ Sep 11, 2025
img
এ বছর জলাবদ্ধতা কমেছে: ডিএনসিসি প্রশাসক Sep 11, 2025
img
ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের জয়ের কারণ ব্যাখ্যা করলেন জাহেদ উর রহমান Sep 11, 2025
img
একলাফে ২০ হাজার টাকা বাড়ল স্বর্ণমুদ্রার দাম Sep 11, 2025
img
সাবেক বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা Sep 11, 2025
img
ডাকসু নির্বাচন সফল করায় সবাইকে ধন্যবাদ দিলেন উপাচার্য Sep 11, 2025
img
চলতি মাসেই অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন Sep 11, 2025
img
ঢাকায় আসছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল Sep 11, 2025
img
পুলিশের স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার Sep 11, 2025
img
বাংলাদেশকে রুখতে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দিল হংকং Sep 11, 2025
img
দুই ঘণ্টা পর ভোট শেষ হওয়ার কারণ জানালেন নজরুল হলের প্রভোস্ট Sep 11, 2025
img
টেকসই কৃষি, বনায়ন ও নগরায়ণে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান ইইউ রাষ্ট্রদূতের Sep 11, 2025
তাণ্ডবের পর সাইফের ‘হাওয়াই মিঠাই’ নিয়ে আলোচনায় Sep 11, 2025
img
জাকসু নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৭ দশমিক ৯ শতাংশ Sep 11, 2025
img
চাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কিনা ভেবে দেখবে ছাত্রদল Sep 11, 2025
img
গোবিন্দর থেকে শুধু সোনালি বেঁচে গিয়েছে: সুনীতা Sep 11, 2025