রজার বিনি দায়িত্ব ছাড়ার পর বিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রাজিব শুক্লা। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বোর্ডের বার্ষিক সভায় নির্বাচনের মাধ্যমে এই পদে নতুন কারো হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে। শুধু সভাপতি পদে নয়, নির্বাচন হবে সহসভাপতি, সচিব, যুগ্মসচিব ও কোষাধ্যক্ষ পদেও।
নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ১৭ দিন। গুরুত্বপূর্ণ এই ইভেন্টকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রার্থী হিসেবে নাম আসছে দেশটির কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের। কোনো কোনো মিডিয়া সভাপতির দৌড়ে শচীনকে সবচেয়ে এগিয়ে রাখছে। কিন্তু শচীন এই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন।
শচীন নিজে কিছু না বললেও তার ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠান এসআরটি স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট প্রা. লি. এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ধরনের গুঞ্জন মোটেই সত্য নয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শচীন টেন্ডুলকার সভাপতি হিসেবে বিবেচনায় আছেন, মনোনীত হয়েছেন; এ ধরনের কিছু খবর আমাদের নজরে এসেছে। এ ধরনের কিছুই ঘটেনি। আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভিত্তিহীন জল্পনা-কল্পনায় বিশ্বাস না করার জন্য অনুরোধ করছি।’
বোর্ড সভার এজেন্ডায় আছে বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিল এবং আইপিএল ও ডব্লিউপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল। জেনারেল বডি থেকে একজন এবং ভারতীয় ক্রিকেটারদের সংস্থা থেকে দুজনকে অ্যাপেক্স কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্ত করবে বোর্ড।
আইপিএলের বর্তমান চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল। প্রশাসক হিসেবে তিনি প্রায় ৬ বছর অতিবাহিত করতে চলেছেন। ফলে তাকেও চেয়ারম্যানের পদটি ছেড়ে বাধ্যতামূলক ‘কুলিং পিরিয়ডে’ যেতে হচ্ছে। এই পদে আসতে পারেন ভারপ্রাপ্ত হিসেবে বোর্ড সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে থাকা রাজিব শুক্লা। ধুমালের জায়গায় আইপিএল চেয়ারম্যান হতে পারেন রাজিব শুক্লা বা এমসিএর সাবেক সচিব সঞ্জয় নায়েক। এমনই গুঞ্জন। শুক্লা যদি আইপিএল চেয়ারম্যান হয়ে যান, তাহলে তার জায়গায় সহসভাপতি হতে পারেন বিহার ক্রিকেট সংস্থার প্রধান ও বিজেপি নেতা রাকেশ তিওয়ারি।
এবি/টিএ