রাজধানী দোহায় দখলদার ইসরায়েলের হামলায় নিহত ব্যক্তিদের জানাজায় উপস্থিত হয়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ইমাম আব্দুল ওয়াহাব মসজিদে এ জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
নিহত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজন ছিলেন ফিলিস্তিনের। তাদের মরদেহ ফিলিস্তিনের পতাকায় মোড়ানো হয়। নিহত অপরজন কাতারের সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন। তার নাম কর্পোরাল বদর সাদ মোহাম্মদ আল-হুমাইদি আল দোসারি। তার মরদেহ কাতারের পতাকায় মোড়ানো হয়।
নিহতদের মরদেহ মিসাইমির কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছিল কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। তবে শীর্ষ নেতাদের সবাই বেঁচে গেছেন।
তা সত্ত্বেও ছয়জন এই হামলায় প্রাণ হারান। যারমধ্যে কাতারের সেনাবাহিনীর এক সদস্যও ছিলেন। এছাড়া নিহতদের মধ্যে হামাস নেতা খলিল আল-হায়ার ছেলে রয়েছেন। মূলত খলিল ও তার অন্য সহযোদ্ধাদের হত্যা করতে হামলা চালায় দখলদাররা।
হামলার পর কাতারের আমির সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এক সাক্ষাৎকারে জানান, খলিল আল-হায়া নিহত হয়েছেন কি না এ ব্যাপারে তিনি কোনো তথ্য জানেন না। এছাড়া হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন নিয়েও নতুন করে ভাববেন বলে জানান তিনি। দোহায় ইসরায়েলের এ হামলার কারণে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি পাওয়ার আশা শেষ হয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করেন কাতারের শাসক।
সূত্র: খালিজ টাইমস
এমআর