নেতার ভূমিকাই পালন করলেন লিটন দাস। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটের বড় জয় এনে দিয়ে। তার ফিফটিতেই তো ১৪ বল হাতে রেখে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এতে করে জয়ে এশিয়া কাপ শুরু করেছে তিনবারের রানার্সআপরা।
লিটনের এটা টানা দ্বিতীয় ফিফটি। সর্বশেষ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সিলেটের সেই ছন্দটাই আবুধাবিতে নিয়ে এসেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ৫৯ রানের ইনিংস খেলেছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
১৫১.২৮ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৬ চার ও ১ ছক্কায়। তবে হাসিমুখে মাঠ ছাড়ার সুযোগ পাননি। দলের জয় যখন ২ রান দূরে ঠিক তখনি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করতে গিয়ে আতিক ইকবালের বলে বোল্ড হন অধিনায়ক।
তবে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তৃতীয় উইকেটে লিটনের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়া তাওহিদ হৃদয়।
এক চারে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ও লিটনের গড়া ৯৫ রানের জুটিতেই জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ। এর আগে দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন ফেরেন দলীয় ৪৭ রানে। পারভেজের ১৯ রানের বিপরীতে ১৪ রান করেন তানজিদ তামিম। এ জয়ে একটা প্রতিশোধও যেন নেওয়া হলো বাংলাদেশের।
২০১৪ সালে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম দেখায় ২ উইকেটের পরাজয় দেখেছিল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে হারার সেই বদলা ১১ বছর পর আবুধাবিতে নিল বাংলাদেশ।
এর আগে আবুধাবিতে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় ব্যাটিংয়ে নেমেছিল হংকং। তবে তা আর হয়নি। আফগানিস্তানের পর এবার বাংলাদেশের কাছেও হারল। তাতে প্রথম দল হিসেবে টুর্নামেন্ট থেকে তাদের বিদায় নিশ্চিত। চার-ছক্কার এই যুগে তাদের স্কোরটা জেতার মতো ছিল না।
আসলে তানজিম হাসান সাকিব-রিশাদ হোসেনরা হংকংকে বড় স্কোর দাঁড় করাতে দেননি। মিতব্যায়ী বোলিংয়ে ১৪৩ রানে হংকংকে থামিয়েছেন তারা। হংকংয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন নিজাকাত খান। বাংলাদেশের হয়ে ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ-তানজিম সাকিব-রিশাদ।
এমআর