পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হওয়া দরকার: হরভজন

২০১৩ সালের পর পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেনি ভারত। এখন পর্যন্ত দুই দলের প্রতিযোগিতা হচ্ছে শুধু বহুজাতিক টুর্নামেন্টগুলোতে। এই দুটি খবরই পুরোনো।

তবে গেল এপ্রিলের আগে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সিরিজ নিয়ে বেশ আলোচনা ও ইতিবাচক কথাবার্তা শোনা গেছে দুদেশের ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মুখে। কিন্তু এপ্রিলে পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা ও এরপর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ সেই আলোচনা ও ইতিবাচক ইঙ্গিতকে স্তব্ধ করে দিয়েছে।

সম্প্রতি কিছুটা হলেও দুদেশের ক্রিকেটীয় সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। এই যেমন এশিয়া কাপে পাকিস্তানের সঙ্গে রাজি হয়েছে ভারত। এমনকি দুই দলকে রাখা হয়েছে একই গ্রুপে। শেষ পর্যন্ত উভয়ই ফাইনালে গেলে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার তিনটি লড়াই দেখতে পাবেন ভক্ত-সমর্থকরা।

তবে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা নিয়ে ভারত সরকার ও বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন অনেক সাবেক ক্রিকেটার। এদের মধ্যে অন্যতম সাবেক বিশ্বকাপজয়ী স্পিনার হরভজন সিং। তিনি মনে করেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেট ও ব্যবসা, কোনোটিই হওয়া উচিত নয়। এর জন্য আগে সম্পর্ক উন্নয়ন প্রয়োজন।



হরভজন বলেন, ‘প্রত্যেকেরই নিজস্ব মতামত আছে, তবে আমি মনে করি দুই দেশের সম্পর্ক ভালো না হওয়া পর্যন্ত ক্রিকেট ও ব্যবসা কোনোভাবেই হওয়া উচিত নয়। তবে এটা আমার ব্যক্তিগত মত। সরকার যদি বলে ম্যাচ হতে পারে, তবে হবে। তবে (দুই দেশের) সম্পর্কের উন্নতি হওয়া দরকার।’ গেল কয়েকদিন আগে হরভজনদের নেতৃত্বে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডস (ডব্লিউসিএল) এ পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কট করেছিল ভারত।

সেটি নিয়ে হরভজন বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সবসময় আলোচনায় থাকে, তবে অপারেশন সিঁদুরের (পাকিস্তানে চালিত ভারতের সামরিক অভিযান) পর সবাই বলেছে- না ক্রিকেট, না ব্যবসা। আমরা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডস খেলছিলাম, কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচটি খেলিনি।’

এশিয়া কাপে ভারতীয় দলের প্রসঙ্গে হরভজনের ধারণা, বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের পরও দল দুর্দান্তভাবে মানিয়ে নিচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘ভারতীয় দলকে হারাতে পারে একমাত্র ভারতীয় দলই, এতটাই শক্তিশালী এই দল। আমাদের ক্রিকেট এক ভিন্ন স্তরে রয়েছে। বিরাট আর রোহিত না থাকলেও দল সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’

এসএস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভোট গণনায় বিলম্ব, চূড়ান্ত ফলের ধারেকাছেও নেই নির্বাচন কমিশন Sep 12, 2025
img
খুলনায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে ১২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা Sep 12, 2025
img
নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন সুশীলা কার্কি Sep 12, 2025
img
বর্তমান সংবিধান বদলাতে হবে: সারোয়ার তুষার Sep 12, 2025
img
সারা দেশে পরিবেশ রক্ষায় দেড় হাজার মোবাইল কোর্ট অভিযান Sep 12, 2025
img
বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ ৩০০ শতাংশ বেড়েছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা Sep 12, 2025
img
বিরাট কোহলিকে উৎসর্গ করা দৃশ্যে নিজেকে সমর্পণ আহান পান্ডের Sep 12, 2025
সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল ও ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ Sep 12, 2025
img
স্বৈরাচার ও দেশবিরোধী শক্তি গণতান্ত্রিক যাত্রা ব্যাহত করতে চায়: ডা. জাহিদ Sep 12, 2025
img
তফসিলের আগেই উপদেষ্টা পরিষদের ২ ছাত্র প্রতিনিধির পদত্যাগ চান মির্জা ফখরুল Sep 12, 2025
img
জনগণকে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান নেপালের সেনাবাহিনীর Sep 12, 2025
img
নয়নতারার বিয়ের ডকুমেন্টারিতে নতুন আইনি জটিলতা Sep 12, 2025
img
বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তাদের আবেদন ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমার নির্দেশ Sep 12, 2025
img
নাগরিকত্ব ইস্যুতে সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে মামলা খারিজ আদালতের Sep 12, 2025
img
জাকসুর ফলাফল সন্ধ্যায় নয়, প্রকাশ হতে পারে রাত ১০টার পর Sep 12, 2025
img
কাশ্মীরের প্রথম পেশাদার ফুটবল দলকে কেন্দ্র করে আসছে স্পোর্টস ড্রামা Sep 12, 2025
img
ডাকসু-জাকসু নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে : ডা. জাহিদ Sep 12, 2025
img
নেতানিয়াহুর আগ্রাসন সব রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি: পাকিস্তান Sep 12, 2025
img
বিজয়ের সঙ্গে প্রেম ভাঙতেই সামাজিক মাধ্যমে তামান্নার ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা Sep 12, 2025
img
ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের জয় নিয়ে শশী থারুরের উদ্বেগ প্রকাশ, কঠিন জবাব মেঘমল্লার বসুর Sep 12, 2025