আধুনিক ক্রিকেটে আগ্রাসী মনোভাবের ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে প্রায় প্রতিটি দেশ। আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মারকাটারি ব্যাটিংয়ে রেকর্ড ভাঙা-গড়া যেন নিয়মিত রুটিন। তবে বাংলাদেশি ব্যাটাররা এখনও সেই শ্রেণিতে প্রবেশ করতে পারেনি। এশিয়া কাপের মতো টুর্নামেন্টে খর্বশক্তির হংকংয়ের বিপক্ষেও তারা লক্ষ্য তাড়ায় কোনোমতে জয়ের মানসিকতা দেখিয়েছে। তাতে সফল হয়ে জিতেছেও বটে!
এদিনও (বৃহস্পতিবার) টাইগার ব্যাটারদের থেকে খুব একটা টি-টোয়েন্টি সুলভ ইনিংস দেখা যায়নি। অধিনায়ক লিটন দাস সেই দায় কিছুটা মিটিয়েছেন অবশ্য। ৩৯ বলে খেলেছেন ৫৯ রানের ইনিংস। তবে স্ট্রাইকরেট নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে সমালোচিত তাওহীদ হৃদয় এই ম্যাচেও ধীরগতিতে ব্যাটিং করেছেন। হংকংয়ের মতো দলের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ৩৬ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশ রানরেট বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ কতটা কাজে লাগাতে পেরেছে সেই প্রশ্ন উঠেছে। অবশ্য হৃদয় মনে করেন, এমন অবস্থায় থেকেও পরের রাউন্ডে যেতে পারে বাংলাদেশ। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, মাঠে নামি জেতার জন্য। আমরা যদি আফগানিস্তান বা শ্রীলঙ্কাকে হারাই, তাহলে তো রানরেটের কিছু আসে-যায় না। আগে থেকে এত জটিল চিন্তা করলে নিজেদের ওপরই চাপ তৈরি হয়। আমাদের যা প্রসেস, আমরা সেটাই অনুসরণ করার চেষ্টা করব। বাকিটা আল্লাহর ওপর।’
মূলত হংকংয়ের বিপক্ষে কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি বাংলাদেশ। তারা রান রেটের চেয়ে ফলাফলকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। এমন পরিকল্পনাই আগে থেকে ছিল বলে উল্লেখ করেন হৃদয়, ‘এটা আমাদের টিম প্ল্যান। আপনারা যেমন রানরেটের কথা বললেন। আপনারাই বলছেন ছোট দল। দিন শেষে প্রতিটি দলই সমান। আমরা যখনই মাঠে নামি। আমাদের লক্ষ্য ছিল যত কমে ওদের অলআউট করে তত তাড়াতাড়ি খেলাটা শেষ করতে পারি। এটা একটা প্ল্যান ছিল।’
‘(বিগত) সিরিজে যেটা হয়েছে রানরেটের তেমন বিষয় ছিল না। সিরিজ যেটা শেষ হয়ে গেছে সেটা নিয়ে কথা বলছে চাইছি না। এটা শুধু ক্যাপ্টেন বা কোচের সিদ্ধান্ত না, সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্ত। দিন শেষে ফলটাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমাদের মনোযোগও ছিল সেদিকেই’, আরও যোগ করেন হৃদয়।
আবুধাবির ধীরগতির উইকেটে হংকংয়ের দেওয়া ১৪৪ রানের লক্ষ্য ১৭.৪ ওভারে তাড়া করে জিতেছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের অপর দুই প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। চার দলের লড়াইয়ে শীর্ষ দুইয়ে থাকলেই টাইগাররা সুপার ফোরে যেতে পারবে। আগামীকাল (১৩ সেপ্টেম্বর) শ্রীলঙ্কা এবং ১৬ সেপ্টেম্বর আফগানদের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ।
এসএস/এসএন