ম্যাচ উইনার বিবেচনায় বাংলাদেশের চেয়ে আফগানিস্তানকে এগিয়ে রাখছেন শেহজাদ

এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান দুই দলই হংকংয়ের মুখোমুখি হয়েছিল। যেখানে হংকংয়ের বিপক্ষে জয় পেয়েছে দুই দলই। দাপট দেখিয়ে জয় পাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্য আফগানরাই এগিয়ে ছিল। সুপার ফোরে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মুখোমুখি লড়াই বড় ভূমিকা রাখবে। আর সেখানে আফগানদের এগিয়ে রাখছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার আহমেদ শেহজাদ।

আফগানিস্তানকে ফেভারিট মানার পেছনে দলটির ম্যাচ উইনার বেশি থাকাকেই কারণ বলছেন শেহজাদ। রহমানুল্লাহ গুরবাজ, রশিদ খান, মোহাম্মদ নবি, গাজানফার, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নূর আহমেদ কিংবা ফজলহক ফারুকি- আফগানিস্তানের স্কোয়াডে প্রত্যেকেই একেকজন ম্যাচ উইনার। যেকোন পরিস্থিতিতে তাদের সবাই একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখেন।

জিও নিউজের ম্যাচ পরবর্তী অনুষ্ঠানে আফগানিস্তানের প্রশংসা করতে গিয়ে পাকিস্তানের সাবেক ওপেনার বলেন, ‘আফগানিস্তান দলে অনেক বেশি ম্যাচ উইনার আছে। আপনি যদি বাংলাদেশের স্কোয়াডের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন তাদের এত বেশি ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় কিংবা ম্যাচ উইনার নেই।’



আফগানিস্তানের উত্থানের পেছনে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) যে বড় অবদান আছে সেই বিষয়টা সামনে এনেছেন শেহজাদ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেই আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের চাহিদা বেড়েছে। আইপিএলের গত আসরে ওমরজাই, রশিদ, নূর, সেদিকউল্লাহ অটল, ফারুকির মতো ক্রিকেটাররা বিভিন্ন দলের হয়ে খেলেছেন।

শেহজাদ বলেন, ‘এখানে তাদের (আফগানিস্তান) খেলোয়াড়দের বড় একটা কৃতিত্ব আছে। আবার তাদের অনেক খেলোয়াড়ই আইপিএলে খেলে, অনেক কিছু শেখার সুযোগ পায়। তারা এসে আবার তরুণদের মধ্যে সেটা ছড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের সিনিয়ররা ভালো ছিল, দল বানানোর চেষ্টা করেছে। আর খেলোয়াড়রা এখন নিজেরা অবকাঠামো গড়ে তুলেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের খেলোয়াড়রা প্রচুর পরিশ্রম করে, একজন আরেকজনের কথা শোনে। আফগানিস্তানকে ওপরে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা সবাই মিলে পরিশ্রম করেছে। অনেক কিছুই ভালো করেছে এজন্য আফগানিস্তানকে অন্য সব সহযোগী দলের চেয়ে ভালো মনে হয়। এমনকি আমরা যেভাবে আলোচনা করছি বাংলাদেশের চেয়েও ভালো মনে হয়।’

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জ্বালাও-পোড়াও করে আ. লীগ প্রমাণ করছে তাদের নেশাই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড: শফিকুল আলম Nov 11, 2025
img
দুই-তিন দিনের মধ্যে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে পারে : জাহেদ উর রহমান Nov 11, 2025
img
আসন্ন নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে না : শিশির মনির Nov 11, 2025
img
জুলাই সনদ ইস্যুতে তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে বার্তা দিলেন মোশাররফ Nov 11, 2025
img
প্রাথমিকের ৬৫ হাজার প্রধান শিক্ষকের জন্য সুখবর Nov 11, 2025
img
বিশ্বকাপের আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে আফগানিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ Nov 11, 2025
img
ভুটান সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি Nov 11, 2025
img
আওয়ামী লীগের অবরোধ কর্মসূচির জবাবে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা জুলাই ঐক্যের Nov 11, 2025
img
নোংরামি ছড়ানো মানসিক অসুস্থতা : স্পর্শিয়া Nov 11, 2025
img
যারা সংস্কারের বিপক্ষে তাদের সঙ্গে কোনো জোট নয়: হাসনাত Nov 11, 2025
img
৫ দফা দাবিতে সমাবেশ করছে জামায়াতে ইসলামীসহ আট দল Nov 11, 2025
img

প্রেস সচিব

দেশে রাজনৈতিক হাওয়া দেখেই আওয়ামী ফ্যাসিজম পার্টি নাশকতার চেষ্টা করছে Nov 11, 2025
img
লাস্যময়ী রূপে দর্শনা! Nov 11, 2025
img
জোর করে ঐকমত্য চাপিয়ে দেওয়া যায় না : রুমিন ফারহানা Nov 11, 2025
img
রাজধানীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা আকাশ গ্রেপ্তার Nov 11, 2025
img
মিডিয়াগুলো ‘আ.লীগের আগুন সন্ত্রাস’ লিখতে লজ্জা পাচ্ছে: ফয়েজ আহমদ Nov 11, 2025
img
গুজব ও বিভ্রান্তি প্রতিরোধে শুরু হলো এনসিএসএর বিশেষ সেলের কার্যক্রম Nov 11, 2025
img
মৃত্যুর আগেই মেরে ফেলবেন না: জিতু কামাল Nov 11, 2025
img
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ডিএমপি Nov 11, 2025
img
১৩ নভেম্বর ঘিরে শক্ত অবস্থানের জন্য প্যাট্রোলিং বাড়ানো হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Nov 11, 2025