নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহি সাত্তার পদত্যাগের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী আহসান লাবিব।
শুক্রবার রাতে সিনেট ভবনের নিচে আহসান লাবিব বলেন, মাফরুহি স্যারের পদত্যাগ আসলে গণতন্ত্রপন্থি অবস্থান নয়, বরং গণতন্ত্রবিরোধী আচরণ। তিনজন শিক্ষক আগেই কমিশন থেকে পদত্যাগ করলেও তখন তিনি পদত্যাগ করতে রাজি হননি। অথচ শেষ মুহূর্তে পদত্যাগ করে তিনি আসলে ভিন্ন ইঙ্গিত দিলেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনের ফল স্থগিত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কমিশনের অন্য সদস্যরা তা মেনে নেননি বলেই তিনি পদত্যাগ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এতদিন মাফরুহি স্যারকে গণতন্ত্রপন্থি ভাবতাম। কিন্তু আজকে তিনি প্রমাণ করলেন, তিনি গণতন্ত্রবিরোধী।’
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ হলে অনুষ্ঠিত হয় জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। প্রথমে ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা হবে বলে জানালেও, পরে মেশিন সরবরাহ নিয়ে ছাত্রদল ও শিবিরের পারস্পরিক দোষারোপের পর হাতে ব্যালট গোনার সিদ্ধান্ত হয়।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে ব্যালট বাক্স সিনেট ভবনে নেওয়া হয় এবং সব প্রস্তুতি শেষে রাত ১০টার পর শুরু হয় গণনা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের কমিশনার অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার পদত্যাগ করেছেন। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের পদত্যাগের কথা জানান তিনি।
মাফরুহী সাত্তার বলেন, নির্বাচনে লেভেলে প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়নি, বিভিন্ন অনিয়ম হয়েছে। অনেক অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ দেয়া হয়েছে যাতে আমি পদত্যাগ না করি। গতকাল থেকেই আমার ওপর চাপ ছিল, তবুও আমি পদত্যাগ করছি। এখন পদত্যাগ না করলে পরে যদি অনিয়মের কথা বলি, তখন তো প্রশ্ন আসবে কেন পদত্যাগ করি নাই।
ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার জাবির জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি।
ইউটি/টিএ