অচেনা মরুর শহর আবুধাবিতে আজ মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। তবে এই লড়াইকে ঘিরে আগের মতো সেই উত্তেজনা নেই, নেই নাগিন নাচ কিংবা মাঠের বাইরের ঠাট্টা–তামাশাও। দু’দলের ক্রিকেটাররা বরং এখন অনেকটাই বন্ধুপ্রতিম। সংবাদ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা নিজেই স্বীকার করেছেন-“সমর্থকদের জন্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপভোগ্য হয়ে ওঠে, খেলোয়াড়দের মধ্যে তেমন কিছু নেই।”
বাংলাদেশ দলের অবস্থানও কম-বেশি একই। লিটন দাসকে না জিজ্ঞেস করলেও বোঝা যায়, আসালঙ্কার চেয়ারে বসলে তিনিও একই উত্তর দিতেন। আসলে দুই দলের খেলার ধরণ, মানসিকতা, এমনকি সীমাবদ্ধতাও প্রায় এক রকম। গত এক দশকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে কম রান তোলার তালিকায় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা পাশাপাশি। যেখানে অস্ট্রেলিয়া, ভারত কিংবা ইংল্যান্ড প্রতি ওভারে নয় রানের কাছাকাছি এগিয়ে চলে, সেখানে বাংলাদেশ ৭ দশমিক ৫৭ আর শ্রীলঙ্কা ৭ দশমিক ৬৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি।
তবে পরিবর্তন আসছে ধীরে ধীরে। পাওয়ার প্লেতে আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা দুই দলই করছে। কিন্তু মিডল অর্ডারে এখনো সংগ্রামের চিত্র স্পষ্ট। বাংলাদেশের হয়ে তাওহীদ হৃদয় যেমন এর সাম্প্রতিক উদাহরণ, লঙ্কানদের ক্ষেত্রে সেই জায়গায় নুয়ান্ডু ফার্নান্দো।
আবুধাবির বাইশ গজ লিটনদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হতে পারে। হংকংয়ের বিপক্ষে খেলার পর এবার হাসারাঙ্গা রহস্য ভেদ করাই হবে বড় পরীক্ষা। তবু আত্মবিশ্বাসে ভরপুর বাংলাদেশ। কারণ, গত জুলাইতেই শ্রীলঙ্কার মাটিতে সিরিজ জিতে এসেছে তারা। ঠিক সেই কারণেই আজ মরুভূমির গ্যালারিতে বাঘ-সিংহের লড়াইয়ে উত্তাপ ছড়াবে সমর্থকেরা।
হয়তো আর নাগিন নাচ হবে না, তবে মরুর আকাশে ‘আল আয়ালা’র সুরে নাচতে পারে জয়ী দল।
ইকে/টিকে