বাংলাদেশ থেকে আরও এলিট আম্পায়ার তৈরির আশা সৈকতের

দুই বছরের চুক্তিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি করেছেন সাইমন টফেল। ইতোমধ্যে ঢাকা এসে নিজের কাজ বুঝে নিয়েছেন তিনি। বিসিবির সঙ্গে আজ করেছেন বৈঠক, সেখানে উপস্থিত ছিলেন এলিট আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। এছাড়া ছিলেন আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠুও।

মিঠুর আশা, এই দুই বছরে টফেলের সঙ্গে থেকে আম্পায়ারদের প্রশিক্ষিত করার কার্যক্রম শিখে নেবেন সৈকতও। মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে সৈকত বলেছেন, টফেলের এডুকেশন থেকে ভালো মানের আম্পায়ার পাবে বাংলাদেশ, ‘অনেকে জানেন কি না জানি না, আমার যে প্রথম দুই ওয়ানডে ছিল, সেখানে ডেব্যু হয়েছে সাইমন টফেলের সঙ্গে। আমি সবসময় বলে এসেছি, আই এম অ্যা বিগ এডমায়ারার অফ হিম।’



পরে টফেলকে নিয়ে সৈকত বলেন, ‘তিনি শুধু একজন আম্পায়ারই ছিলেন না, অনেক বছর ধরেই আম্পায়ারদের এডুকেশন নিয়ে কাজ করছেন। আমরা সম্প্রতি আম্পায়ারিংয়ে বেশ ভালো করছি। আশা করছি সাইমনের সঙ্গে আমাদের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। আমরা আরও বেশি এলিট আম্পায়ার পাব এ আশা করছি।’

আইসিসির এলিট প্যানেলে বাংলাদেশের একমাত্র সদস্য এখন সৈকত। সৈকতের বিশ্বাস, সময় দিলে বাংলাদেশ থেকেও আরও এলিট প্যানেল আম্পায়ার পাওয়া যাবে, ‘একজন এলিট আম্পায়ার তৈরির জন্য অনেক সময় লাগে। এটা শর্ট কাটের জায়গা না। রেজিলিইয়েন্স, ডিটারমিনেশন, এগুলো লাগে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, আমাদের মাইন্ডসেট চেইঞ্জ করা। রেসপেক্টের যে জায়গাটা, আম্পায়ারদের প্রতি এটা একটু কম আছে।’



সৈকত আরো বলেন, ‘আমরা একটু ক্রিকেটার অরিয়েন্টেড নেশন। এখন ক্রিকেট বোর্ডের যে কর্মকান্ড দেখছি, তাতে মনে হচ্ছে এই দিকেও উন্নতি আসবে। আমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে।

একজনই তো শেষ নয়। আই এম নট দ্য লাস্ট ওয়ান টু বি এন এলিট প্যানেল আম্পায়ার। আরও অনেক এলিট প্যানেল আম্পায়ার আসবে।’

আইসিসির এই এলিট আম্পায়ার যোগ করেন, ‘যখন আমরা দল হিসেবে কাজ করব, স্ট্রাকচার থাকবে, এডুকেশন থাকবে, তখন আরও অনেক এলিট প্যানেল আম্পায়ার আসবে। সিস্টেমটা যদি দাঁড়িয়ে যায়, তাহলে ফিউচারে আমরা আরও অনেক এলিট আম্পায়ার পাব।’

এমকে/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
৫ দফা দাবিতে ঢাকায় জামায়াতসহ ৮ দলের সমাবেশ দুপুরে Nov 11, 2025
img
গাজায় ত্রাণ আটকে দিচ্ছে ইসরায়েল, জাতিসংঘের অভিযোগ Nov 11, 2025
img
দেশের বাজারে বেড়েছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে কার্যকর Nov 11, 2025
img
সেবা প্রাপ্তি সহজ করতে ৭ দফা নির্দেশনা জারি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের Nov 11, 2025
img
সাজতে ভালবাসি, নিন্দা করুক কেউ: সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় Nov 11, 2025
img
ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তি স্থগিত করল থাইল্যান্ড Nov 11, 2025
img
বিশ্বের সবাই ট্রাম্পকে ভয় পায়, আমি পাই না: জেলেনস্কি Nov 11, 2025
img
ধর্মেন্দ্র’র শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে Nov 11, 2025
img
ঢাকা-৯ আসনে এনসিপির মনোনয়ন ফরম কিনলেন তাসনিম জারা Nov 11, 2025
img
যা ভাগ্যে লেখা, সেটাই ঘটে: কারিশমা কাপুর Nov 11, 2025
img
মাঝে মাঝে ভেঙেছি, তবু থামিনি: পার্থ বেরা Nov 11, 2025
img
শেখ হাসিনা তো ভারতে পালিয়েছেন, তারেক পালাবেন কোথায়: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী Nov 11, 2025
img
সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন থেকে আয়কর কাটার নতুন নির্দেশনা Nov 11, 2025
img
ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে Nov 11, 2025
img
ফ্রান্সের দল থেকে ছিটকে গেলেন মুয়ানি Nov 11, 2025
img
দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান চতুর্থ Nov 11, 2025
img
এনসিপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ২ Nov 11, 2025
img
শুভশ্রীর সম্মান যেন নষ্ট না হয়: দেব Nov 11, 2025
img
১১ নভেম্বর: ইতিহাসের এই দিনে কী ঘটেছিল Nov 11, 2025
img
পঞ্চগড়ে শীতের আগমনী হাওয়া, তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে Nov 11, 2025