বলিউডের গান এবার পেল এক অদ্ভুত ধাঁধার মোড় ইনস্টাগ্রামে। জনপ্রিয় হিন্দি গানগুলোকে এক সৃজনশীল ব্যবহারকারী পরিণত করেছেন মজার এক অনুমান খেলায়। কৌশলটা এমন, গানের কথার ভেতর থেকে কয়েকটি শব্দকে লাল দাগ দিয়ে হাইলাইট করা হচ্ছে আর দর্শকদের চ্যালেঞ্জ দেওয়া হচ্ছে শুধু ওই শব্দগুলোর ওপর ভর করে রোগের নাম অনুমান করতে। কোনো উপসর্গ, কারণ বা প্রভাবের ইঙ্গিত দেওয়া হয় না, শুধু লালচিহ্নিত শব্দই ইঙ্গিত বহন করে।
রোমান্টিক গান থেকে শুরু করে নাচের তালে ভরপুর জনপ্রিয় সুর, সবই পরিণত হচ্ছে এক ধরনের স্বাস্থ্য-ধাঁধায়। দর্শকেরা মজা পাচ্ছেন, আবার মাথা চুলকাচ্ছেনও। সবচেয়ে আলোচিত ভিডিওগুলোর একটি হলো নব্বইয়ের দশকের সুপারহিট গান টিপ টিপ বরসা পানি। এখানে “টিপ টিপ”, “পানি” ও “আগ” শব্দগুলো লাল করে দেখানো হয়। পানি আর আগুনের সংমিশ্রণ থেকে কেউ কেউ ধারণা করেছেন ইউটিআই, কেউ বলেছেন সর্দি বা নিউমোনিয়া, আবার কেউ ঠাট্টা করে লিখেছেন রেবিস।
একইভাবে আলোচনায় এসেছে ২০০৫ সালের ছবি দশ–এর বিখ্যাত গান দশ বাহানে করে লে গ্যায়ি দিল। এখানে “দশ” শব্দটি একাধিকবার লাল করা হয়। সেই সূত্রে মন্তব্যে জমে ওঠে চিকিৎসাবিষয়ক ধাঁধা। অনেকে মনে করেছেন এটি ক্লেফট লিপের সঙ্গে সম্পর্কিত, কারণ চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রচলিত “দশের নিয়ম” অনুযায়ী শিশুদের এই অস্ত্রোপচার করা যায় নির্দিষ্ট বয়স, ওজন, হিমোগ্লোবিন ও রক্তকণিকার সংখ্যার ভিত্তিতে। আবার কেউ কেউ রোগটির সঙ্গে ফিওক্রোমোসাইটোমার যোগ খুঁজেছেন, যেখানে দশ শতাংশ ক্ষেত্রে টিউমার মারাত্মক, দশ শতাংশ দ্বিপাক্ষিক, দশ শতাংশ পরিবারে উত্তরাধিকার সূত্রে দেখা দেয়।
২০০৬ সালের জনপ্রিয় গান বিডি জ্বালাইলেও ধাঁধায় রূপ নিয়েছে। এখানে “বিডি”, “জিগর”, “জিগর মা” আর “আগ” শব্দগুলো লাল করে দেওয়া হয়। ধূমপান, হৃদয় আর অগ্নি—এই মিল থেকে অনেকে অনুমান করেছেন অ্যাসিডিটি বা জিইআরডি। কেউ লিখেছেন, ধূমপান থেকে হৃদপিণ্ডে আগুন মানে হার্টবার্ন। আবার কেউ লিখেছেন, এই ধাঁধা মেডিকেল কলেজের পড়াশোনার দিনগুলোর মতোই মনে করিয়ে দিচ্ছে।
নস্টালজিয়া, শব্দখেলা আর চিকিৎসাবিজ্ঞানের অজানা সূত্র মিলে এই রিলগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় জমজমাট আলোচনা তৈরি করেছে। পরিচিত বলিউডি গানগুলো যে এমন খেলাচ্ছলে স্বাস্থ্যসচেতনতার বার্তাও ছড়িয়ে দিতে পারে, তা ভক্তদের কাছে নতুন অভিজ্ঞতা হয়ে উঠছে।
ইউটি/টিএ