বাজে হারে হতাশ হলেও সুপার ফোরের আশা রাখছেন নান্নু

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লজ্জাজনক হারে হতাশ সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। ম্যাচ হারের জন্য বোলিং, ব্যাটিং ও ফিল্ডিং; তিন বিভাগের বাজে পারফরম্যান্সকে দায়ী করেছেন তিনি। তবে এখনও টাইগারদের সুপার ফোরে খেলার স্বপ্ন দেখছেন সাবেক এই অধিনায়ক। এর জন্য আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয়ের প্রত্যাশা তার।

হংকংয়ের বিপক্ষে সাদামাটা জয়, এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লজ্জাজনক হার। সব মিলিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশে রয়েছে নড়বড়ে অবস্থানে।

টাইগাররা যেন ফিরেছে পুরোনো রূপে। লঙ্কানদের বিপক্ষে পাওয়ার প্লেতেই হারায় ৩ গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। টপ অর্ডার ব্যর্থ হলে শেষদিকে জাকের-শামীমের ব্যাটে কিছুটা আশা জাগলেও জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। এদিন ব্যাটারদের মতো ব্যর্থ হয়েছে বোলিং বিভাগও। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এমন হার হতাশার বলছেন সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।

গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমরা এত বাজেভাবে হারব, সেটা কখনো চিন্তাতে আসেনি। পাওয়ার প্লেতেই ম্যাচ আমাদের হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল। এরপর স্কোরবোর্ডে ১৪০ রান (১৩৯) যোগ করার পর আমরা যে বোলিং করেছি, এমন হতাশাজনক বোলিং কিন্তু আশা করা যায় না।’

দীর্ঘ সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেললেও, এখনও টাইগারদের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখছেন সাবেক এই অধিনায়ক।

তিনি বলেন, ‘আমাদের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি এখানে দেখা দিয়েছে। এগুলো থেকে অনেক কিছু শিক্ষনীয় আছে। এখন টিম ম্যানেজমেন্টকে চিন্তা করতে হবে, কীভাবে পরবর্তী ম্যাচে পরিকল্পনা সাজাবে।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারলেও, এখনও সুপার ফোরে বাংলাদেশের সম্ভাবনা দেখছেন নান্নু। তবে এর জন্য আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয় চান তিনি।

প্রত্যাশা রেখে বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচ আছে। আমাদেরও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ আছে। সুতরাং এখনো (সুপার ফোরের) সুযোগ আছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভালো রান রেট করে আগাতে হবে।’
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আফগানিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লড়বে লিটন দাসের দল।

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শিল্প যে বোঝে, সে ধ্বংসবিরোধী মানুষ : মোশাররফ করিম Nov 11, 2025
img
গ্রেপ্তারের ৩ দিন পর প্রাণ গেল স্ত্রী-সন্তানের, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে জানাজায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা Nov 11, 2025
img
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন করতে পারবেন যা Nov 11, 2025
img
বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপাল সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জারি করল ভারত Nov 11, 2025
img
হাসপাতাল থেকে তুলে নেয়া নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার ৩ Nov 11, 2025
img
গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত Nov 11, 2025
img
ভোটের প্রচারণায় প্রথমবারের মতো পোস্টার ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ Nov 11, 2025
img
পিছিয়ে গেল বিপিএলের নিলাম Nov 11, 2025
img
ক্ষুদে ফুটবলার সোহানকে বিকেএসপি স্কলারশিপ দেয়া হবে : ক্রীড়া উপদেষ্টা Nov 11, 2025
img
এনসিপির কার্যালয়ের সামনে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ, একজনকে গণপিটুনি Nov 11, 2025
img
প্রাথমিকে শারীরিক শিক্ষা এবং সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট Nov 11, 2025
“ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা থেকে নায়ক হয়েছি Nov 10, 2025
আসিফের উচিত জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া, বললেন মামুনুল Nov 10, 2025
img
গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি প্রেম চোপড়া Nov 10, 2025
img
‘রাষ্ট্র যেখানে ব্যর্থ, রাজপথই সেখানে ফয়সালা’ Nov 10, 2025
img
নারীরা ঘরে সময় দিলে, সম্মানিত করবে সরকার: জামায়াত আমির Nov 10, 2025
img
জারিনের স্মরণ সভায় গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে জিতেন্দ্র Nov 10, 2025
img
দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ Nov 10, 2025
img
বদলে যাচ্ছে বিপিএল নিলামের তারিখ Nov 10, 2025
img
মুশফিকের ৯৯তম টেস্টে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ Nov 10, 2025