বিরাট কোহলির প্রিয় প্রতিপক্ষের তালিকা করতে গেলে পাকিস্তানের নামটা ওপরের দিকেই থাকবে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে কোহলির ব্যাটটা আরও বেশি চওড়া হয়ে ওঠে। বেশ কয়েকবার পাকিস্তানকে জ্বালিয়ে মেরেছেন এই কিংবদন্তি। এশিয়া কাপে আরেকটি ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথের আগে তাই কোহলিকে মনে পড়ারই কথা। সুপার সানডের (১৪ সেপ্টেম্বর) হাই ভোল্টেজ ম্যাচের আগে সুনীল গাভাস্কারেরও মনে পড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে বিদায় নেয়া কোহলিকে।
ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার বলেছেন, ভিরাট কোহলি পাকিস্তানের বিপক্ষে বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন এবং এশিয়া কাপের ম্যাচে কোহলি না থাকায় পাকিস্তানি বোলাররা স্বস্তি অনুভব করবেন।
২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে জয়ের একেবারে দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিল পাকিস্তান, কিন্তু হারিস রউফের বলে কোহলির দুটি বিশাল ছক্কা ম্যাচের রং পাল্টে দেয়।
২০২৪ সালে ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর কোহলি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। ফলে এশিয়া কাপ হোক কিংবা আগামী বছরের বিশ্বকাপ পাকিস্তান আর কোহলির মুখোমুখি হবে না।
গাভাস্কার 'ইন্ডিয়া টুডে'কে বলেন, 'আমি নিশ্চিত ওরা খুব খুশি হবে তাকে বল করতে না হওয়ায়। কারণ আমরা বেশ কিছু দুর্দান্ত ইনিংস দেখেছি। মেলবোর্নের ওই ইনিংসটার কথা ভাবুন না, যখন ভারতের ম্যাচ হেরে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত ছিল। তখনই সে (কোহলি) হারিস রউফকে টানা দুটি অবিশ্বাস্য ছক্কা মেরে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে, আর শেষে অশ্বিন জয় নিশ্চিত করে।'
বর্তমান ভারতীয় দলে রয়েছে বিশ্বের সেরা কিছু ব্যাটার। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব, সহ-অধিনায়ক শুভমান গিল আর সঞ্জু স্যামসনকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন নেই। ওপেনার অভিষেক শর্মা তো রয়েছেন টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে।
তবুও, গাভাস্কারের বিশ্বাস পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা স্বস্তি পাবেন এটা ভেবে যে কোহলিকে আর সামলাতে হবে না। তিনি বলেন, 'তাহলে হ্যাঁ, আমি যদি একজন পাকিস্তানি হতাম, অবশ্যই অনেকটা হালকা নিঃশ্বাস নিতাম। কারণ তাদের আর কোহলির মুখোমুখি হচ্ছে না। কোহলি মানে শুধু ব্যাটার নয়, এক অসাধারণ ক্রিকেটার।'
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বয়কট করার দাবির প্রসঙ্গে গাভাস্কার জোর দিয়ে বলেন, শেষ কথা বলবে সরকারই। 'দিনের শেষে সিদ্ধান্ত তো সরকারের হাতে। সরকার যা বলবে, খেলোয়াড় ও বিসিসিআইকে তাই মেনে চলতে হবে এটাই এতদিন ধরে হয়েছে।
এসএস/এসএন