চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ২৭০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে, যা এই বিমানবন্দরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়ের রেকর্ড।
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বিমানবন্দরটির রাজস্ব আয় হয়েছিল ২৩৭ কোটি টাকা। ওই অর্থবছরের তুলনায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা বেশি আয় হয়েছে।
আজ রবিবার শাহ আমানত বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী ইব্রাহিম খলিল বিষয়টি নিশ্চত করে বলেন, শাহ আমানত বিমানবন্দরে এবার রেকর্ড রাজস্ব আয় হয়েছে। বলা যায়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে রেকর্ড রাজস্ব আয় হয়েছে। মূলত যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি, বকেয়া আদায়সহ নানা খাত থেকে এবার সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় হয়েছে। একই সঙ্গে উল্লেখযোগ্যভাবে যাত্রী যাতায়াতও বেড়েছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৭০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ৪০ কোটি টাকা। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে আয় হয়েছিল ২৩৭ কোটি টাকা এবং ব্যয় হয়েছিল ৩৬ কোটি টাকা। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে আয় হয়েছিল ২২৫ কোটি টাকা এবং ব্যয় হয়েছিল ৩৩ কোটি টাকা। আর ২০২১-২০২২ অর্থবছরে আয় হয়েছিল ৭৯ কোটি টাকা এবং ব্যয় হয়েছিল ২৭ কোটি টাকা। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে আয় হয়েছিল মাত্র ৩০ কোটি টাকা এবং ব্যয় হয়েছিল ২৬ কোটি টাকা।
বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ২০০০ সালে জাপানি দাতা সংস্থা জাইকার সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক রূপ পায় শাহ আমানত বিমানবন্দর। নতুন করে অ্যাপ্রোন এরিয়া তৈরি করায় বিমান ধারণক্ষমতা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০টিরও বেশি। সেই সঙ্গে বছর বছর বেড়েছে যাত্রী পরিবহন। গত অর্থবছরে তা তুলনামূলক বেড়েছে। সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়ের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীও বেড়েছে।
এসএস/এসএন