গত কয়েক বছরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে ক্রিকেট পাড়ায় যতটা আগ্রহ থাকে, মাঠের ক্রিকেটে তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায় না। সর্বশেষ দুই দেখায় ভারতের একক আধিপত্য ছিল। এবারও বল হাতে ভারতীয়দের দাপট! জাসপ্রিত বুমরাহ-কুলদিপ যাদবদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি পাকিস্তানি ব্যাটাররা। ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে শেষ দিকে দারুণ এক ক্যামিও খেলেছেন শাহিন আফ্রিদি। তার ইনিংসে ভর করে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে পাকিস্তান।
দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান করে পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন শাহিবজাদা ফারহান। এ ছাড়া অপরাজিত ৩৩ রান করেছেন আফ্রিদি।
আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ইনিংসের প্রথম বৈধ বলেই উইকেট হারিয়েছে তারা। হার্দিক পান্ডিয়ার করা অফ স্টাম্পের বাইরের কিছুটা খাটো লেংথের বল বৃত্তের ভেতরে দাঁড়ানো ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন সাইম আইয়ুব, টাইমিং না হওয়ায় পয়েন্টে বুমরাহর হাতে ধরা পড়েন তিনি।
তিনে নেমে দলের বিপদ আরো বাড়িয়েছেন মোহাম্মদ হারিস। এই টপ অর্ডার ব্যাটার বুমরাহর পেস আর সুইংয়ে রীতিমতো চোখে সর্ষে ফুল দেখেছেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বুমরাহর বলে হার্দিকের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ৫ বলে ৩ রান করেছেন হারিস।
৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেছিলেন ফারহান ও ফখর জামান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করছিলেন তারা। তবে উইকেটে থিতু হয়েও বাজে শটে উইকেট দিয়েছেন ফখর। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ১৫ বলে করেছেন ১৩ রান।
এরপর সালমান আলি আগা, হাসান নাওয়াজ, মোহাম্মদ নাওয়াজরা যোগ দেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। এক প্রান্তে এমন ব্যাটিং ধসের মাঝেও আরেক প্রান্ত আগলে রেখে দারুণ ব্যাটিং করেছেন ফারহান। এই তরুণ ওপেনার ৪৪ বলে করেছেন ৪০ রান।
ফারহান আউট হওয়ার পর অনেকেই এখানেই পাকিস্তানের ইনিংসের শেষ ভেবেছিলেন। তবে আফ্রিদি সেটা হতে দেননি। আরও একবার নিজের পাওয়ার হিটিং সামর্থ্যের প্রমাণ দেখালেন তিনি। ১৬ বলে চার ছক্কায় অপরাজিত ৩৩ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
এমআর/এসএন