ন্যাটো জোটের মতো সামরিক বাহিনী গড়ে তুলতে চায় মিশরস, যার নেতৃত্বে থাকবে কায়রো। সাথে থাকবে সৌদি আরবও। কোনো আরব দেশ বহিঃশত্রুর আক্রমণের শিকার হলে মুহূর্তেই জবাব দিবে বিশেষ এই ফোর্স। ইসরায়েলের সাথে উত্তেজনার মধ্যেই আরব দেশগুলোর সামরিক জোট গঠনের এই খবর উঠে এসেছে বিভিন্ন আরবি গণমাধ্যমে।
মূলত, বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক জোট ধরা হয়ে থাকে ন্যাটো’কে। যার মাধ্যমে একসূত্রে গাঁথা ইউরোপীয় দেশগুলো। অদৃশ্য ঢালের মতোই ইউরোপের বেশিরভাগ দেশকে রক্ষা করে থাকে বিশেষ এই প্রতিরক্ষা চুক্তি। সম্প্রতি মিশরের তরফে প্রস্তাব এসেছে- আরব দেশগুলোকে একত্র করে ন্যাটোর আদলে সামরিক জোট গড়ে তোলার।
সম্প্রতি, বিষয়টি নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন উঠে আসে আল-আখবার, আল-কুদস, মা’আনসহ বিভিন্ন আরব গণমাধ্যমে। বলা হচ্ছে, ন্যাটো জোটের মত একই ধরনের সামরিক বাহিনী গড়ে তুলতে চাইছে কায়রো। এরইমধ্যে নামও প্রস্তাব করা হয়েছে। কাতারে হামলার জেরে ইসরায়েলের সাথে উত্তেজনার মধ্যেই এমন খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
প্রতিবেদনগুলোতে আরও বলা হয়, হুমকির মুখে থাকা যেকোনো আরব দেশে মোতায়েন করা হবে এই র্যাপিড রিয়েকশন ফোর্স। কোনো দেশ আক্রমণের শিকার হলে জবাব দেয়া হবে অবিলম্বে। ন্যাটোর আর্টিকেল ফাইভ অনুযায়ী ঠিক যেমনটা সুরক্ষা পায় জোটভুক্ত দেশগুলো।
বিশেষ বাহিনীটিতে প্রাথমিকভাবে ২০ হাজারের মতো সেনা পাঠাবে মিশর। দেশটির সরকারি সূত্রের বরাতে এমনটা জানাচ্ছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
পরিকল্পনায় প্রধান সহযোগী হিসেবে শোনা যাচ্ছে সৌদি আরবের নামও। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছে মিসরের সিসি সরকার।
উল্লেখ্য, যৌথ আরব বাহিনী গড়ে তোলার এই উদ্যোগ অবশ্য নতুন নয়। এক দশক আগেও এমন পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়েছিলো মিশর। সেটি আলোর মুখ না দেখলেও কাতারে ইসরায়েলের হামলার পর এখন নতুন করে বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।
এমআর/টিকে