অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পিটার হাসের প্রতিষ্ঠান দেখে নয়, বরং দাম যাচাই করেই এলএনজি কেনা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে একটি দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি আমদানি চুক্তি করা হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি আগামী ১৫ বছরের মধ্যে ধাপে ধাপে বাংলাদেশে ১ লাখ কোটি টাকার এলএনজি সরবরাহ করবে। ঢাকায় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব শেষ করার পর ওই প্রতিষ্ঠানের স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজর হিসেবে কাজ করছেন পিটার হাস।
ঘাটতি পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা তুলনামূলকভাবে স্বস্তিকর অবস্থানে আছি। কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে আমদানি মূল্যে অতিরিক্ত খরচ হতে পারে, যেমন গম। পণ্যের মান ভালো এবং এতে ঘাটতি পূরণ সম্ভব। তবে, ভোক্তাদের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। আমরা ইতোমধ্যেই মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও ভর্তুকি দিয়ে দিচ্ছি। পাইকারি ও খুচরা বাজারে কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল রয়েছে।
ট্যাক্স ব্যবস্থাকে সহজ করার উদ্যোগের কথা জানিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বেসরকারি খাতে কাজের সুযোগ সীমিত থাকা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ব্যবসা-বাণিজ্য মন্থর হলে তার প্রভাব পড়ে, তবে বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ট্যাক্স ব্যবস্থাকে সহজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে আইনজীবীরা দ্রুত এবং সহজভাবে কাজ সম্পন্ন করতে পারেন।
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, সার ও এলএনজি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থনীতিকে মোটামুটি স্টেবল করতে কাজ চলছে। ট্যাক্স রেভিনিউ স্টেবল আছে বলেও জানান তিনি।
এবি/টিকে