দেশের মিডিয়া এখনও নিয়ন্ত্রিত : নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, দেশের মিডিয়া এখনো আগের মতোই নিয়ন্ত্রিত।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এদিন জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের মতো অবশিষ্ট সাক্ষ্য দেন এনসিপির এই আহ্বায়ক।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে নাহিদ বলেন, আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী মিডিয়া সংস্কার হয়নি। যদিও আমিও দায়িত্বে ছিলাম। মিডিয়া এখনও নিয়ন্ত্রিত বলে আমি মনে করি। ডিজিএফআই আগে যেভাবে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ বা বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ করতো, এখনও সেই চর্চা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি যে সময়টুকু দায়িত্বে পেয়েছিলাম, আমরা গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করেছিলাম। তাদের দায়িত্ব ছিল পুরো বিষয়টা সংস্কার প্রস্তাবনা করে সরকারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা। এছাড়া বিভিন্ন অভিযোগে হওয়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলার পর্যালোচনা নিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। যেন এসব মামলা প্রসঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়। তারা সুপারিশও করেছিল। বাকিটা আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছিল। অর্থাৎ সংবাদকর্মী হিসেবে যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিলেন,তাদের বিচারের আওতায় আনার।

এদিন বেলা সোয়া ১১টা থেকে ট্রাইব্যুনালে ৪৭ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন নাহিদ ইসলাম। দুপুরে তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিরতি দেওয়া হয়। এরপরই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম এ নায়ককে জেরা করবেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর সহিদুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার পালোয়ান, মামুনুর রশীদসহ অন্যরা।

এদিকে, আজ সকালেও ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলার অন্যতম আসামি থেকে রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে। তার উপস্থিতিতেই জবানবন্দি দিচ্ছেন সাক্ষীরা।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে ফোন দিলেন মোদি Sep 18, 2025
img
করণের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন কাজল কন্যা, মা বললেন ‘সিদ্ধান্ত ওর’ Sep 18, 2025
img
মনে হচ্ছে, লন্ডন থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে : গোলাম মাওলা রনি Sep 18, 2025
img
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ৯০০ পরিবারের পাশে বাংলাদেশি সেবা সংস্থা Sep 18, 2025
img
নতুন ছবিতে খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় করবেন স্বস্তিকা, রেখেছে শর্ত Sep 18, 2025
img
উৎসবমুখর পরিবেশে এ বছর শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে: ডিএমপি কমিশনার Sep 18, 2025
img
একদিনে ডেঙ্গুতে ৬ মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৪৭ Sep 18, 2025
img

সৌদি-পাকিস্তান চুক্তি

প্রতিরক্ষা চুক্তি ছাড়া মুসলিম দেশগুলোর আর কোনো উপায় নেই : আসিফ নজরুল Sep 18, 2025
img
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ল মিশা সওদাগরের মৃত্যুর গুজব Sep 18, 2025
img
ইসি সচিবালয় ও নির্বাচন কর্মকর্তা অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন Sep 18, 2025
img
অনুষ্কার অরুন্ধতী ফিরছে নতুন রিমেকে, থাকছে শ্রীলীলা Sep 18, 2025
img
শেখ হাসিনার মামলায় নাহিদ ইসলামের পরবর্তী জেরা রোববার Sep 18, 2025
img
নির্বাচনে অবহেলা করলে জবাবদিহি: প্রেস সচিব Sep 18, 2025
img
সেই ফেলানীর ছোট ভাই যোগ দিলেন বিজিবিতে Sep 18, 2025
img
মাত্র ৭ মাসেই বিবাহ বিচ্ছেদ! Sep 18, 2025
img
অজনপ্রিয় সরকার যেকোনো সময়ই অজুহাত তৈরি করতে পারে: মাসুদ কামাল Sep 18, 2025
img
দেশের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে কৃষিখাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে: গভর্নর Sep 18, 2025
img
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ৩১ অক্টোবর : ইসি সচিব Sep 18, 2025
img
হোমবাউন্ড ট্রেলার প্রকাশ, তুলে ধরা হয়েছে বন্ধুত্ব ও সমাজের প্রভাবের গল্প Sep 18, 2025
img
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বিশাল রেকর্ড গড়লেন সালাহ Sep 18, 2025