রমনা মডেল থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় উপকমিটির সদস্য মো. কামরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাকরাইল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক হাফিজুর রহমান তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
এ সময় আসামিপক্ষে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজিজুল হক দিদার জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মগবাজার এলাকা থেকে কামরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার সূত্রে জানা যায়, সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ এবং কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের সদস্যরা গত ১২ সেপ্টেম্বর বিকেল পৌনে ৩টার দিকে রমনা থানার রূপায়ন টাওয়ারের সামনে মিছিল করে। সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল করা, সরকার তথা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রের ক্ষতি সাধনের লক্ষ্যে অপপ্রচার করছিল। পরে সোয়া ৩টায় ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করে। কয়েকজনকে সেখান থেকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় ওইদিনই রমনা মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ।
এমআর/টিকে