গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনের মধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য ও কানাডাসহ প্রায় ১০টি দেশ। আগামী সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরুর আগেই এ ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কূটনীতিকরা।
এদিকে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগে নেওয়া এই উদ্যোগকে অনেকে গাজায় চালানো চলমান বর্বরতার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ওপর চাপ হিসেবে দেখছেন।
১৯৮৮ সালে ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার পর এখন পর্যন্ত জাতিসঙ্ঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৪৭টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইউরোপীয় দেশগুলো এতদিন দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের শর্তে অবস্থান নিয়েছিল। তবে বর্তমান সিদ্ধান্ত সেই অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমাদের স্বীকৃতি প্রতীকী হলেও একেবারেই প্রভাবহীন নয়। কারণ, এতে ইসরায়েলের প্রতি তাদের নীতি পুনর্বিবেচনার চাপ তৈরি হতে পারে।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত হুসাম জমলতের ভাষায়, এটি ‘সমতার ভিত্তিতে নতুন অংশীদারত্বের পথ খুলে দিতে পারে।’
সাবেক ব্রিটিশ কনসাল-জেনারেল ভিনসেন্ট ফিনও মনে করেন, এর ফলে ইসরাইলের দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বসতি থেকে আসা পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির মতো পদক্ষেপ আসতে পারে।
তবে বাস্তবে ফিলিস্তিনের জাতিসংঘে পূর্ণ সদস্যপদ না থাকায় এবং ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে সীমান্ত ও বাণিজ্য আটকে থাকায় তাদের রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা কার্যত সীমিতই থাকবে। ফলে পশ্চিমাদের স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নৈতিক চাপ ও কূটনৈতিক প্রতীকী গুরুত্ব সৃষ্টি করলেও ফিলিস্তিনিদের দৈনন্দিন বাস্তবতায় তাৎক্ষণিক পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা কম।
সূত্র: রয়টার্স
ইএ/টিকে