দেশের আইন-শৃঙ্খলা ও শিল্পের জ্বালানি পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, বেসরকারি খাতের ব্যবসায় সরকারের নজর কম। এ কারণে ভুগছেন ব্যবসায়ীরা।
দেশের অর্থনীতি কয়েক বছর ধরেই খারাপের দিকে।
তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আশা ছিল, ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা নতুন সরকারের মনোযোগ পাবেন। পরিবেশ ব্যবসাবান্ধব হবে। এতে সার্বিক অর্থনীতি গতি পাবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে।
তবে বাস্তবতা ভিন্ন; তথ্য বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩.৯৭ শতাংশ। তার আগের বছর প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৪.২২ শতাংশ। শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি নয়; সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগও কমেছে। বিদায়ি অর্থবছরে জিডিপির ২২.৪৮ শতাংশ বেসরকারি বিনিয়োগ হয়।
তার আগের অর্থবছর যা ছিল ২৩.৫১ শতাংশ। এ ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য শ্লথ হওয়ায় বিদায়ি অর্থবছর রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা কম হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এটিও ব্যবসা মন্দারই ফল।
এসব বিষয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বর্তমান সরকারের কাছে সবার অনেক আশা ছিল। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও শিল্পের জ্বালানি পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
বরং বেসরকারি খাতের ব্যবসায় সরকারের নজর কম। এ কারণে ব্যবসায়ীরা ভুগছেন। বেসরকারি খাতে আস্থার ঘাটতি থাকায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে দেশও পিছিয়ে আছে।’
এবি/টিএ