২৩ বছর ধরে ভারতের বিপক্ষে কোনো টেস্ট জেতেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জেতেনি তারা ৪২ বছর ধরে। এই সব অপেক্ষার অবসান আসছে সিরিজে ঘটাতে পারবেন বলে দারুণ আত্মবিশ্বাসী ড্যারেন স্যামি। এজন্য ক্যারিবিয়ানদের প্রধান কোচ অনুপ্রেরণা খুঁজে নিচ্ছেন গত বছর ভারতে নিউ জিল্যান্ডের ঐতিহাসিক সাফল্য থেকে। ভারতের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সবশেষ টেস্ট জিতেছে ২০০২ সালে। ভারতের মাটিতে সবশেষ সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে তারা সেই ১৯৮৩ সালে।
আগামী মাসে ভারতে দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আহমেদাবাদে প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২ অক্টোবর, দিল্লিতে দ্বিতীয় টেস্ট হবে ১০ অক্টোবর থেকে। ঘরের মাঠে ভারতের সবশেষ টেস্ট সিরিজ কেটেছিল দুঃস্বপ্নের মতো। আগের ১২ বছরে ঘরের মাঠে যে দলের ছিল না টেস্টে হারের অভিজ্ঞতা, সেই দলকে তিন টেস্টের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে নিউ জিল্যান্ড।
গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বরের ওই সিরিজের আগের ৩৬ বছরে ভারতে কোনো টেস্ট জয় ছিল না কিউইদের। সেবারের আগে প্রায় ৭০ বছরে ১২ বারের ভারত সফরে কোনো সিরিজ জয় ছিল না তাদের। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে স্যামি বললেন, নিউ জিল্যান্ডের মতো ভারতে প্রতিটি টেস্ট জয়ের মানসিকতা নিয়েই মাঠে নামবে তার দল।
“(ভারতে) প্রথম টেস্ট ম্যাচের ১০ দিন আগে, আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করব এবং ভারতে ভারতকে কিভাবে হারানো যায়, তা নিয়ে খুব ভালো পরিকল্পনা করব। অবশ্যই সেখানে জয়ের মানসিকতা নিয়ে খেলব আমরা। সেখানে গিয়ে ভাবব না যে, ‘ওহ, এটা তো ভারত।’ আমরা তা ভাবব না”
“নিউ জিল্যান্ড সেখানে খুবই ভালো করেছে এবং সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিতে হবে আমাদের। নিউ জিল্যান্ড সেই কন্ডিশনে কী করেছে, তা বোঝার ও অনুকরণ করার চেষ্টা করব আমরা।”
ঘরের মাঠে সবসময়ই স্পিন সহায়ক উইকেট বানিয়ে থাকে ভারত। গত মঙ্গলবার ঘোষিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে বিশেষজ্ঞ স্পিনার আছেন কেবল জোমেল ওয়ারিক্যান ও এখনও টেস্ট না খেলা খ্যারি পিয়ের। স্পিনে বাড়তি সহায়তার জন্য আছেন অধিনায়ক অলরাউন্ডার রোস্টন চেইস।
দলে পেসার আছেন চার জন- আলজারি জোসেফ, শামার জোসেফ, জেডেন সিলস ও অ্যান্ডারসন ফিলিপ। সঙ্গে আছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার জাস্টিন গ্রেভস। যে কোনো কন্ডিশনে টেস্টে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য এই পেসারদের আছে বলে বিশ্বাস করেন স্যামি। “আমরা এখন যে অবস্থানে আছি, আমাদের পেস আক্রমণ যে কোনো কন্ডিশনে ভালো করতে পারে। আমাদের ফাস্ট বোলিং বিভাগে চার জন ভিন্ন খেলোয়াড় আছে, যাদের নিজস্ব বৈচিত্র্য রয়েছে।”
“তাই আমরা আত্মবিশ্বাসী, বিশেষ করে গত এক বছর ধরে তারা যেভাবে বোলিং করছে। ২০ উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য, ভারতে এটাই প্রয়োজন হবে। ভারতে ২০ উইকেট নিতে না পারা মানে পিছিয়ে থাকা। আমাদের এমন একটি বোলিং লাইন-আপ আছে, বিশেষ করে পেস বিভাগ, যারা ২০ উইকেট নিতে পারে।”
টেস্ট ক্রিকেট থেকে রাভিচান্দ্রান অশ্বিন, রোহিত শার্মা ও ভিরাট কোহলির অবসরের পর এই সংস্করণে ঘরের মাঠে ভারতের প্রথম সিরিজ হবে এটি। তাদের ছাড়া গত জুন-জুলাইয়ে ইংল্যান্ডে গিয়ে নতুন অধিনায়ক শুবমান গিলের নেতৃত্বে পাঁচ টেস্টের সিরিজ ২-২ ড্র করে ফেরে ভারত।
এসএস/টিএ