ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে যুক্তরাষ্ট্র এখন লাভবান হচ্ছে- এমনটাই দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ যুদ্ধের মাধ্যমে বাইডেনের প্রশাসনের সঙ্গে নিজের অবস্থানকে তুলনা করে বলেছেন, যেখানে বাইডেনি কোনো শর্ত ছাড়াই কিয়েভকে সামরিক সহায়তা দিয়েছিল।
শুক্রবার ( ১৯ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প জানান, গত জুলাইয়ে তিনি যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, তাতে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র বিক্রি করছে ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর কাছে, আর তারা তা ইউক্রেনকে সরবরাহ করছে।
ট্রাম্প বলেন, আমরা আর এই যুদ্ধে খরচ করছি না। আমরা যা পাঠাচ্ছি, তার সব কিছুর মূল্য দেওয়া হচ্ছে। বাইডেনের মতো নয়, যিনি ইউক্রেনকে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার দিয়েছিলেন। এটা ছিল অবিশ্বাস্য।
তিনি আরও যোগ করেন, আসলে আমি এ যুদ্ধ থেকে আয় করতে চাই না। তবে সত্য হলো আমরা আয় করছি, কারণ ন্যাটো দেশগুলো আমাদের সরঞ্জাম কিনছে।
ট্রাম্প প্রায়ই সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সমালোচনা করে বলেন, তিনি ইউক্রেনের জন্য বিপুল সামরিক সহায়তা অনুমোদন করেছেন। ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে উল্লেখ করেছেন ‘পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সেলসম্যান’ হিসেবে।
তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনকে সহায়তার মূল দায়িত্ব ইউরোপের ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর ওপরই থাকা উচিত।
এ বছর শুরুর দিকে ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলোচনার উদ্যোগ নিলেও সম্প্রতি স্বীকার করেছেন, যুদ্ধের অবসান ঘটানো তার প্রত্যাশার চেয়ে কঠিন হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে মস্কো জানিয়েছে, পশ্চিমা অস্ত্র সহায়তা কোনোভাবেই তাদের সেনাবাহিনীকে জয় থেকে বিরত রাখতে পারবে না। রাশিয়ার মতে, ন্যাটো দেশগুলো কার্যত এ যুদ্ধে সরাসরি একপক্ষ হয়ে পড়েছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
এমকে/টিকে