শ্রীলঙ্কাকে হারানোর কৃতিত্ব যাদের দিলেন লিটন

ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত খেললেও শেষদিকে কিছুটা এলোমেলো বাংলাদেশের দেখা মিলল। শেষ ওভারে জয়ের জন্য মাত্র ৫ রান প্রয়োজন ছিল, প্রথম বলেই জাকেরের দুর্দান্ত চারের মারে ম্যাচ টাই। গ্যালারিতে তখন জয় উদযাপনের চূড়ান্ত অপেক্ষা। কিন্তু পরের তিন বলে দুই উইকেট হারিয়ে সব থমকে গিয়েছিল যেন। যদিও বিপদ আর বাড়াতে দেননি নাসুম। স্নায়ুচাপ জয় করে সিঙ্গেলস নিয়েই দলের জয় নিশ্চিত করেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয়ে সুপার ফোর শুরু করল বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী পর্বে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস বেশ কয়েকজনকে নিয়ে কথা বলেছেন। যাদের ভূমিকা ছিল অনবদ্য এই জয়ে। শুরুতেই ব্যাটিং ইউনিটকে নিয়ে লিটন বলেন, এশিয়া কাপের আগে আমরা কয়েকটি সিরিজ খেলেছিলাম, সেখানে লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছি। তাই জানতাম আমাদের ব্যাটিং ইউনিট ভালো অবস্থায় আছে।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন লঙ্কান ব্যাটাররা। তবে বল হাতে কার্যকর ভূমিকায় দেখা গেছে মুস্তাফিজকে। ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন। তাকে নিয়ে লিটন বলেন, আমরা জানি মুস্তাফিজ কতটা কার্যকর। উইকেটটাও দারুণ ছিল। মুস্তাফিজ আর তাসকিন ১৯তম ও ২০তম ওভারে ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেয়। একসময় মনে হচ্ছিল স্কোর ১৯০ হবে।



১৬৯ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট তাড়ায় শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অন্য প্রান্তে হাল ধরেন সাইফ হাসান। ৪৫ বলে ৬১ রানের সময়োপযোগী ইনিংস খেলেছেন। টাইগার ওপেনারকে নিয়ে লিটন বলেন, আমি জানি সাইফের এমন সামর্থ্য আছে, যে দলকে ম্যাচ জেতাতে পারে। আমরা আগেই ভেবেছিলাম সংযুক্ত আরব আমিরাতে ও ভালো ব্যাট করবে। ওর চরিত্র জানি, খেলার ধরনও জানি। এ ধরনের ম্যাচ তাড়া করে জিতলে পরের ম্যাচের জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। তবে আবারও আমাদের সেরাটা খেলতে হবে। নতুন ম্যাচ, নতুন প্রতিপক্ষ—নিজেদের সেরা খেলাটাই তুলে ধরতে হবে।

ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা সাইফ বলেন, উইকেটটা খুব ভালো ছিল। আমি শুধু টাইমিংয়ের দিকে মনোযোগ দিয়েছি, শেপ ধরে রেখেছি। লিটন দা পাশে ছিল, সবসময় আমাকে সাহায্য করছিল, আগাম আন্দাজ করছিল আমার খেলার ধরণ। দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। নিজের প্রক্রিয়া মেনে চলেছি, প্রস্তুতিও ভালো ছিল। তুষারাকে মোকাবিলায় ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য আমাদের আলাদা পরিকল্পনা ছিল।

ইউটি/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিতর্কের মাঝে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করলেন মাধুরী Nov 06, 2025
img
মানুষটা আপনাদের কাছে খারাপ হতে পারে কিন্তু সে আমার সন্তানের বাবা : মো. তারেকের স্ত্রী Nov 06, 2025
img
বিএনপিকর্মী আব্দুল হাকিম হত্যায় গ্রেপ্তার ৪ Nov 06, 2025
img

নভেম্বরে গণভোটসহ ৫ দাবি

জামায়াত সেক্রেটারির নেতৃত্বে যমুনায় ৮ দলের প্রতিনিধিরা Nov 06, 2025
img
দুর্নীতির মামলায় এস কে সুরের বিচার শুরু Nov 06, 2025
img
গুগল ক্রোমে এআই মোড এখন আরও সহজ Nov 06, 2025
img
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হবে : অ্যার্টনি জেনারেল Nov 06, 2025
img
মোদির রূপচর্চার রহস্য জানতে চাইলেন ভারতীয় ক্রিকেটার Nov 06, 2025
img
ফিফা থেকে শান্তিতে পুরস্কার পাচ্ছেন ট্রাম্প! Nov 06, 2025
img
জেমকন গ্রুপের সিইও কাজী আনিসের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা Nov 06, 2025
img
অসুস্থতার কারণে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে উপস্থিত থাকতে পারছেন না সৌমিতৃষা Nov 06, 2025
img
বাবা-ছেলের জন্মদিন একই দিনে Nov 06, 2025
img
সবার অংশগ্রহণে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক কাঠামো গড়তে চায় বিএনপি : আমীর খসরু Nov 06, 2025
img
পাকিস্তান-ভারত সংঘাতে ৮ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছিল: ট্রাম্প Nov 06, 2025
img
‘থটটাম-দ্য ডিমেইন’ : প্রথমবারের মতো দেখা যাবে অ্যান্টনি-কীর্থি জুটিকে Nov 06, 2025
img
মেসির হাতে তুলে দেওয়া হলো মায়ামি শহরের চাবি Nov 06, 2025
img

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫

ফোনে অশ্লীল ও অশোভন বার্তা পাঠালে সর্বোচ্চ ২ বছর জেল ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা Nov 06, 2025
img
আমার পঞ্চাশ বছর বয়সী লুকটা দেখার অপেক্ষায় আছি : পরীমনি Nov 06, 2025
img

বিএনপির প্রার্থীকে গুলি

নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে: মির্জা ফখরুল Nov 06, 2025
img
প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন গোবিন্দ Nov 06, 2025