ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নেতৃত্বে আসছে বড় পরিবর্তন। দেশটির ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় প্রশাসনিক পদে আসছে নতুন মুখ। সবকিছু ঠিক থাকলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিসিআইয়ের সভাপতি হতে যাচ্ছেন মিঠুন মানহাস। ঘরোয়া ক্রিকেটে দিল্লিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে তার।
গত আগস্ট থেকে বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদটি খালি রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন হিসেবে এই দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা। সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন পর্যন্ত একমাত্র প্রার্থী হিসেবে মানহাসই আবেদন করেছেন। ফলে নির্বাচনের প্রয়োজন না-ও পড়তে পারে।
মানহাসের পাশাপাশি বোর্ডে আরেকজন সাবেক ক্রিকেটারকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে দেখা যেতে পারে। কর্ণাটক ও ভারতের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার রঘুরাম ভাট বিসিসিআইয়ের সম্ভাব্য নতুন কোষাধ্যক্ষ হতে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আগামী অক্টোবরে ৪৬ বছরে পা দিতে যাওয়া মিঠুন মানহাস জম্মুতে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১৫ সালে দিল্লির হয়ে দীর্ঘদিন খেলার পর তিনি জম্মু ও কাশ্মীর দলে যোগ দেন। ২০১৬ সালে অবসরে যাওয়ার পর সরাসরি কোচিংয়ে যুক্ত হন। বিসিসিআই কর্তৃক নিযুক্ত উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন পরিচালনা করছেন।
কোচ হিসেবে মানহাস বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটিং কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করেছেন। আইপিএলে ছিলেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব (বর্তমানে পাঞ্জাব কিংস), রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং গুজরাট টাইটান্সের কোচিং স্টাফে। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে একসময়ের পরিচিত মুখ মানহাস ১৫৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে করেছেন ৯,৭১৪ রান। এছাড়া ১৩০টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে ৪,১২৬ রান এবং ৯১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১,১৭০ রান রয়েছে তার ঝুলিতে।
ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, শনিবার দিল্লিতে বিসিসিআইয়ের এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে মানহাসের নাম নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিসিসিআই সচিব দেবজিত সাইকিয়া, আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, রাজীব শুক্লা, দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রোহান জেটলি এবং বিসিসিআইয়ের সাবেক সচিব নিরঞ্জন শাহ।
বিসিসিআই সচিব পদে দেবজিত সাইকিয়া এবং সহ-সভাপতি পদে রাজীব শুক্লা বহাল থাকছেন। বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ২৮ সেপ্টেম্বর, মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে। রোববারের মধ্যে যদি নতুন কোনো মনোনয়ন না পড়ে, তবে দিল্লির এই বৈঠকে আলোচিত নামগুলোই চূড়ান্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসএন