২০১৫ সাল। হিন্দি ‘বিগ বস’-এর আদলে কলকাতায় বাংলায় প্রথম শুরু হয় প্রতিযোগিতামূলক এ অনুষ্ঠানটি। সেই বছর সঞ্চালনায় ছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। দ্বিতীয় পর্বে সঞ্চালনায় আসেন জিৎ।
তিন দিনেই হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। আমি কারো বাথরুম পরিষ্কার করতে পারব না। গলা ছেড়ে ঝগড়া করতে পারব না। সারাক্ষণ পটের বিবি সেজেও থাকতে পারব না। ফলে এ ধরনের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে তিনি নেই এমন কথাও ওঠে।
চলতি বছরেই শুরু হবে ‘বাংলা বিগ বস’-এর শুটিং? তবে কেউ জানে না, কবে শুটিং শুরু হবে? চলতি বছরের জুলাইয়ে শোনা গিয়েছিল, এবারের পর্ব সঞ্চালনায় থাকবেন সৌরভ গাঙ্গুলী। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নাকি ডাক পেয়েছেন নীল ভট্টাচার্য, তৃণা সাহা, সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূজার আগে এ তালিকায় নতুন সংযোজন নাকি শ্রীলেখা মিত্র ও সৌরভ দাস।
সুদীপ্তা একটি গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করে বলেন, তিনিও এ রকম কানাঘুষা শুনেছেন। কিন্তু তাকে নাকি এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। শ্রীলেখার কাছে কি চ্যানেলের তরফ থেকে কোনো আমন্ত্রণ এসেছে? এমন প্রশ্নে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমন্ত্রণ দূরের কথা, এ রকম গুঞ্জনও কানে আসেনি।’ তবে হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘ওখানে থাকতে গেলে খুব ঝগড়া করতে হয়। ওটা আবার আমি একেবারেই পারব না। বরং বেশি দিন ওই ঘরে থাকলে মাথা খারাপ হয়ে যাবে।’
কথা প্রসঙ্গে অতীত ফিরে দেখেছেন শ্রীলেখা। তিনি জানিয়েছেন, জিৎ যে পর্বের সঞ্চালক ছিলেন, সেই পর্বে তিন দিনের জন্য যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তার মনে পড়ছে, নিজের খরচে দামি ইলিশ মাছ কিনে নিয়ে গিয়েছিলেন। শ্রীলেখা বলেন, আধখানা ডিমের জন্য প্রতিযোগীদের ঝগড়া করতে দেখেছি। মায়া হয়েছিল। নিজের টাকায় তাই সেরা ইলিশ মাছ কিনে নিয়ে গিয়েছিলাম। চ্যানেল থেকে বলা হয়েছিল এই অনুভূতির দাম তিনি পাবেন না। সেটাই নাকি ঘটেছিল।
ইলিশ মাছ নিয়ে যাওয়ায় ওখানকার এক প্রতিযোগী আমার নামে খুব কুৎসা গেয়েছিলেন। শুধু টাকার জন্য, তাই এ ধরনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নারাজ বলে জানান শ্রীলেখা।
এসএস/এসএন