পাকিস্তানে বৃষ্টি-বন্যায় সাড়ে ৩ মাসে প্রাণ গেল অন্তত ১০০৬ জনের

পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, জুন থেকে শুরু হওয়া বর্ষা ঋতুতে দেশজুড়ে প্রবল বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত ১০০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ২৭৫ শিশু, ৫৬৮ পুরুষ ও ১৬৩ জন নারী।

এনডিএমএ-র বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে খাইবার পাখতুনখওয়া প্রদেশে, এখানে মৃতের সংখ্যা ৫০৪। এরপর পাঞ্জাব প্রদেশে ৩০৪, সিন্ধুতে ৮০, বেলুচিস্তানে ৩০, গিলগিট-বালতিস্তানে ৪১, আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৮ এবং রাজধানী ইসলামাবাদে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এর পাশাপাশি দেশজুড়ে ১০৬৩ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩২১ শিশু, ৪৫০ পুরুষ ও ২৯২ জন নারী। সবচেয়ে বেশি ৬৬১ জন আহত হয়েছেন পাঞ্জাবে, তারপর খাইবার পাখতুনখওয়ায় ২১৮ জন ও সিন্ধুতে ৮৭ জন।

এনডিএমএ রোববার এসব তথ্যের পাশাপাশি আরও জানায়, ২৬ জুন শুরুর পর থেকে প্রায় ৫৭৬৮টি অভিযানের মধ্য দিয়ে দুর্গত ৩০ লাখেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এনডিএমএ, প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও অন্য সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টায় এসব উদ্ধার অভিযান চালানো হয়।

সবচেয়ে বেশি অভিযান চালানো হয় পাঞ্জাবে। এখানে ৪৭৪৯টি অভিযানের মধ্য দিয়ে ২০ লাখ ৮১ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়। সিন্ধুতে চালানো ৭৫৩টি অভিযানে উদ্ধার হয় এক লাখ ৮৪ হাজার ১১ জন। খাইবার পাখতুনখওয়ায় বিভিন্ন দুর্গম এলাকা থেকে ১৪৩১৭ জনকে, গিলগিট-বালতিস্তানে ১০২৭, আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরে ৯৪০, ইসলামাবাদে ৪৯ এবং বেলুচিস্তানে ১৯ জনকে উদ্ধার করা হয়।

২৬ জুন থেকে কর্তৃপক্ষ বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে ১৬৯০টি ত্রাণশিবির ও মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করেছে বলে এনডিএমএ জানিয়েছে।

বন্যায় পাকিস্তানজুড়ে ১২৫৬৯টি বাড়ি ধ্বংস ও ৬৫০৯টি গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে। এর পাশাপাশি ২৩৯টি সেতু ও প্রায় ২০০০ কিলোমিটার সড়ক ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রাজধানী ইসলামাবাদ অঞ্চলের তিনটি সেতুও রয়েছে।

এমআর/এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ Sep 22, 2025
img
আন্দোলনকারীরাই লোকদের হত্যা করেছে, দাবি শেখ হাসিনার আইনজীবীর Sep 22, 2025
img
প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পেরে আমি আনন্দিত : মিথিলা Sep 22, 2025
img
সরকারি সফরে মালয়েশিয়া গেলেন সেনাবাহিনী প্রধান Sep 22, 2025
img
পুঁজিবাজার থেকে সবসময় মুনাফাই হবে, এটা ভাবা ভুল: অর্থ উপদেষ্টা Sep 22, 2025
img
চার্লি কার্কের হত্যাকারীকে ক্ষমার ঘোষণা দিলেন স্ত্রী এরিকা Sep 22, 2025
img
নোয়াখালী পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি পিন্টু ঢাকায় গ্রেপ্তার Sep 22, 2025
img
লিগের ফিকশ্চারে মোহামেডানের আপত্তি, কমিটি পরিবর্তনের দাবি Sep 22, 2025
img
পাকিস্তানশাসিত কাশ্মির একদিন নিজেই ভারতের অংশ হয়ে যাবে : রাজনাথ সিং Sep 22, 2025
img

ডাকসু নির্বাচন

অনিয়মের ১১ অভিযোগ জানাল ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল Sep 22, 2025
img
শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় কর্মবিরতি; নেপথ্যে রাকসু বানচালের চেষ্টা Sep 22, 2025
img
শামির জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল 'বিয়ে করা' Sep 22, 2025
img
ট্রাম্পের শুল্কারোপ ও ভিসা ফি বৃদ্ধিতে বেকায়দায় ভারত, বৈঠকে বসছেন রুবিও-জয়শঙ্কর Sep 22, 2025
img
অবেশেষে হাত মেলালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক Sep 22, 2025
img
জাপোরিঝিয়ায় রুশ হামলায় প্রাণ গেল ৩ জনের, আহত আরও ২ Sep 22, 2025
img
ক্যাচের আগে বল মাটি ছুঁয়েছে বলে বিশ্বাস পাকিস্তানের অধিনায়কের Sep 22, 2025
img
দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন তারেক রহমান : মাহবুব Sep 22, 2025
img
ট্রাম্পের শুল্ক চুক্তি বাস্তবায়ন করতে গেলে সংকটে পড়বে অর্থনীতি: লি জে মিয়ং Sep 22, 2025
img
হানিমুনে মালদ্বীপ যাচ্ছেন শবনম ফারিয়া Sep 22, 2025
img
নিজের সব সম্পদ স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে বিলিয়ে দেবেন বিল গেটস Sep 22, 2025