অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আগে জাহাজ কেনায় ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হতো বলে জাহাজ আমদানি করা কঠিন ছিল। পরে এই ভ্যাট বাতিল করা হয়েছে এবং ব্যাংক ঋণের সুযোগও তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগ করতে আরও আগ্রহী হবেন।
তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন বন্দর সচল করেছে এবং মোংলা বন্দরের উন্নয়নের কাজ চলছে। এ পদক্ষেপগুলো দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে জাহাজ ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শিপিং লাইন একটি বড় ব্যবসা। কিন্তু কিছু মিসম্যানেজমেন্টের কারণে দীর্ঘদিন বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) লাভের মুখ দেখেনি। তবে আমার প্রথম বৈঠকেই দেখেছি, বিএসসি সরকার থেকে নেওয়া ঋণ ফেরত দেওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করেছেন, যা আমাকে ভীষণ আনন্দিত করেছে। এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নিই, বিএসসির লাভের অর্থ দিয়েই নতুন জাহাজ কেনা হবে।
বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মাহমুদুল মালেক এবং হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ডেভেলপমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল এমসি. ডারমন।
বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) নিজস্ব অর্থায়নে দুইটি জাহাজ ক্রয় করেছে। তাদের নিজস্ব অর্থায়নে কেনা জাহাজ দুটি অত্যাধুনিক ফ্ল্যাটবটম বাল্ক ক্যারিয়ার জহাজ। যা চীনে তৈরি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসি থেকে ক্রয় করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মাহমুদুল মালেক বলেন, এই জাহাজগুলো পরিবেশবান্ধব, জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং প্রচলিত জাহাজের তুলনায় দ্রুতগতিসম্পন্ন। এতে বিএসসি বহরে উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটবে। এছাড়া বছরে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে এবং বহু নাবিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
উল্লেখ্য, দুটি জাহাজের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৬.৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা প্রাক্কলিত মূল্যের তুলনায় ৪.৬ শতাংশ কম। পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম জাহাজ অক্টোবরে এবং দ্বিতীয়টি ডিসেম্বরে বিএসসির বহরে যুক্ত হবে।
এবি/এসএন