জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটকের ভবিষ্যৎ মালিকানা নিয়ে এক নতুন মোড় সামনে এল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, টিকটকের মার্কিন কার্যক্রমের অংশীদার হতে পারেন বিখ্যাত মিডিয়া মোগল রুপার্ট মারডক ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডেলের প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল ডেল।
একটি সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এই দুই ধনকুবেরের নাম উল্লেখ করেছেন।
ট্রাম্পের তথ্য অনুসারে, টিকটকের মার্কিন অংশের মালিকানা নেওয়ার জন্য গঠিত একটি সম্ভাব্য গ্রুপে রুপার্ট মারডক এবং তার ছেলে ল্যাকলান মারডক থাকবেন। রুপার্ট মারডক হলেন নিউজ করপোরেশন ও ফক্স নিউজের প্রধান। ট্রাম্প তাদের ‘দেশপ্রেমিক’ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, তাঁরা দেশের জন্য ভালো কাজ করতে পারবেন। তবে এর আগে থেকেই এই গ্রুপে ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন থাকবেন বলে জানা গিয়েছিল।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, টিকটকের ডেটা ও নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে ওরাকলের ওপর এবং নতুন বোর্ডের সাতটি আসনের মধ্যে ছয়টির নিয়ন্ত্রণ থাকবে আমেরিকানদের হাতে।
বর্তমানে এই চুক্তির অনেক কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি শুক্রবার চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে এক দীর্ঘ ফোনালাপে টিকটক নিয়ে আলোচনা করেছেন। দুই দেশের কর্মকর্তারা আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পেয়েছেন চুক্তির বিস্তারিত চূড়ান্ত করার জন্য।
টিকটক বর্তমানে চীনের কোম্পানি বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন। মার্কিন কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, এই অ্যাপের অ্যালগরিদম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে চীনা কর্তৃপক্ষ। এর ফলে চীন সহজেই যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের কাছে নির্দিষ্ট ধরনের কনটেন্ট প্রচার করতে পারে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে টিকটক নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি এর কার্যক্রম চালু রাখার সুযোগ দিয়েছেন, যাতে একটি চুক্তি করা যায়। কারণ, এই প্ল্যাটফর্ম তাকে তরুণ ভোটারদের সঙ্গে যুক্ত হতে সাহায্য করেছে।
তিনি বলেন, প্রয়াত রক্ষণশীল কর্মী চার্লি কার্ক তাকে অ্যাপটি ব্যবহার করতে উৎসাহিত করেছিলেন।
তবে এই বিষয়ে এলিসন, ডেল এবং মারডকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, মারডকের মালিকানাধীন সংবাদপত্র ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কিত ধনী ব্যক্তি ও দণ্ডিত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনের সম্পর্ক নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপর গত জুলাইয়ে মারডক ও পত্রিকাটি বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন ট্রাম্প।
তথ্যসূত্র: এবিসি নিউজ
এমআর/এসএন