মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নবীনই বলা যায়। কেননা এখন পর্যন্ত হওয়া ১২ বিশ্বকাপে একবারই খেলার সুযোগ পেয়েছেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। সেটিও সর্বশেষ বিশ্বকাপে। এবার তাই ভারত-শ্রীলঙ্কায় হতে যাওয়া বিশ্বকাপটি বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয়।
সেই বিশ্বকাপে অংশ নিতেই আগামীকাল দেশ ছাড়বেন জ্যোতি-মারুফা আক্তাররা। উড়াল দেওয়ার আগে আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন সেরেছে বাংলাদেশ। ফটোসেশন শেষেই সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বকাপ নিয়ে নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন অধিনায়ক ও কোচ। তবে তাদের কারো কণ্ঠেই দলগুলোর প্রধান যে লক্ষ্য থাকে তা ঝড়েনি। চ্যাম্পিয়ন নয়, এবার বেশ কিছু ম্যাচ জয়ের জন্যই যাচ্ছে বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়ায় হওয়া সর্বশেষ ২০২২ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার জয়ের সংখ্যা বাড়ানোই লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন কোচ সারোয়ার ইমরান। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ম্যাচ ধরে ধরে ভালো খেলা।
দুটি ম্যাচে ভালো করার সুযোগ আছে, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। এ ছাড়া অন্যান্য দলের সঙ্গেও…। আমরা কোন দলকেই বড় করে দেখছি না। প্রতিটি ম্যাচই জেতার জন্য খেলব। গত বিশ্বকাপে আমরা পাকিস্তানকে হারিয়েছি।
এবার আরও কিছু ম্যাচ জেতার জন্য যাচ্ছি।
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে খেলতে যাওয়ার আগে আফসোস ঝড়েছে জ্যোতির কণ্ঠে। অবশ্য ঝড়ারই কথা। বিশ্বকাপের মতো আসরে খেলতে যাওয়ার আগে যে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচই খেলতে পারেননি তারা। প্রস্তুতি হিসেবে নিজেরাই ভাগ হয়ে খেলেছেন তারা। সঙ্গে ওমেন্স চ্যালেঞ্জ কাপে ছিল অনূর্ধ্ব-১৫ ছেলেদের দল। তাই প্রস্তুতিটা স্বাভাবিকভাবেই হয়নি।
সেটা উল্লেখ করেই জ্যোতি বলেছেন, ‘অবশ্যই বড় দলের সঙ্গে খেলতে পারলে ভালো হতো। আদর্শ প্রস্তুতি হয়তো হয়নি। আমরা একটি সিরিজ খেলেছি, এরপর তিন-চার মাস আর খেলিনি। একটি ব্যাটিং ইউনিটকে ভালো উইকেটে নিয়মিত প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলতে হয়। পাকিস্তানে যখন খেলেছিলাম, এক ম্যাচ বাদে আমরা সব ম্যাচে দুই শর বেশি রান করেছি, যদিও সাধারণত আমাদের গড় ১৮০। সামনে চ্যালেঞ্জ আছে, কিন্তু আইসিসি টুর্নামেন্টে ভালো উইকেটে খেলার জন্য এটা দারুণ সুযোগ।
৮ দলের বিশ্বকাপ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হবে, দুই স্বাগতিক ভারত-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ দিয়ে। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ পাকিস্তানের বিপক্ষে। ম্যাচটি হবে আগামী ২ অক্টোবর কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে।
এবি/এসএন