ভারত-পাকিস্তানের বাইশগজের মহারণ শেষেও উত্তাপ থামছে না। এশিয়া কাপে পর পর দুইবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়েছে ভারত। প্রথম ম্যাচের পর কোনো মন্তব্য না করলেও সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে আর চুপ থাকেননি ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। পাকিস্তানের কাটা ঘায়ে যেন এদিন যেন নুনের ছিঁটা দেন তিনি। ম্যাচ শেষে ভারতের অধিনায়ক বলেন, ভারত বনাম পাকিস্তান এখন আর কোনও লড়াই-ই নয়।
এদিকে, ম্যাচ চলাকালেও কম উত্তেজনা হয়নি। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচ হবে আর কথার লড়াই হবে না এমন দৃশ্য বিরলই বলা চলে। সুপার ফোরের ম্যাচেও দেখা গেল দুই দলের ক্রিকেটারদের কথার লড়াই। যেখানে মাঠের মাঝেই তর্কে জড়ান ভারতের অভিষেক শর্মা ও পাকিস্তানের হারিস রউফ।
এদিকে, কখনও বন্দুক চালানোর কায়দায় উল্লাস, তো কখনও ভারতের যুদ্ধবিমান রাফাল ধ্বংসের মুহূর্ত দেখানো, একের পর এক কর্মকাণ্ডে আলোচনায় পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। সর্বশেষ আসরে নামলেন রউফের স্ত্রী মুজনা মাসুদ মালিক। ভারতকে নিশানা করেছেন তিনি।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ চলাকালীন ভারতের ইনিংস চলাকালীন বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করছিলেন রউফ। তার পেছনে গ্যালারিতে বসে থাকা ভারতীয় সমর্থকরা ‘কোহলি, কোহলি’ বলে চিৎকার করেন। ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে ভারতকে জেতানোর পথে রউফের পর পর দুই বলে দুই ছক্কা মেরেছিলেন বিরাট কোহলি। সে কারণেই হয়তো কোহলির নাম করে রউফকে খোঁচা মারছিলেন ভারতীয় সমর্থকরা। তখনই সমর্থকদের দিকে তাকিয়ে রউফ এমনভাবে হাতের ইশারা করেন, যাতে দেখে মনে হয় বিমান উড়তে উড়তে ভেঙে পড়েছে। বেশ কয়েক বার একই কায়দায় ইশারা করে দেখান তিনি।
ভারতীয় সমর্থকদের দিকে তাকিয়ে হাতের আঙুল দিয়ে ‘৬-০’ দেখান রউফ। ম্যাচের আগে অনুশীলনেও তিনি ৬-০ বলে চিৎকার করেছিলেন। রউফ মুখে কিছু না বললেও তার ইশারা থেকে মনে হচ্ছে ভারতের যুদ্ধবিমান রাফাল ধ্বংসের কথা বোঝাতে চেয়েছেন তিনি। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পাকিস্তান দাবি করেছিল ভারতের ছ’টি রাফাল ভেঙেছেন তারা। পাকিস্তানের ক্রিকেটারের সেই ছবি নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দেন মুজনা। সেখানে লেখেন, “ম্যাচ হেরেছি কিন্তু যুদ্ধ জিতেছি।” মুজনা বোঝাতে চেয়েছেন, পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে যে সংঘাত হয়েছিল তাতে জিতেছে পাকিস্তান।
প্রসঙ্গত, এবারের এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের গ্রুপ পর্বের ম্যাচের আগে থেকেই ক্রিকেটের বাইরের বিষয়ে চর্চা চলছিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের খেলা উচিত কি না তা নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে জয়ের পর ভারতীয় ক্রিকেটাররা পাকিস্তানিদের সঙ্গে হাত মেলাননি। যা নিয়েও অনেক বিতর্ক হয়েছে। সুপার ফোরের ম্যাচেও তার অন্যথা হয়নি।
এসএস/টিএ