এশিয়া কাপে মাঠের খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে না উঠলেও ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানের হারের পর হ্যান্ডশেক বিতর্কে জল গড়িয়েছিল অনেকদূর। যার প্রেক্ষিতে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে দুঃখপ্রকাশও করতে হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় গতকাল (রোববার) সুপার ফোরের ম্যাচে ফের মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। এই দফায়ও ম্যাচের ফল পরিবর্তন হয়নি, তবে ম্যাচ ঘিরে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে ফখর জামানের আউটকে ঘিরে বিতর্কের পর পাকিস্তান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে।
ব্যাট হাতে দারুণ শুরু করা ফখর ইনিংসের তৃতীয় ওভারে তৃতীয় আম্পায়ার রুচিরা পাল্লিয়াগুরুগের সিদ্ধান্তে আউট হন। হার্দিক পান্ডিয়ার ওভারের তৃতীয় বলটি ফখরের ব্যাটের কোণায় লেগে উইকেটের পেছনে গেলে ভারতের উইকেটকিপার সাঞ্জু স্যামসন সামনে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ নেন। তবে বল তার হাতে যাওয়ার আগে মাটিতে লেগেছে কি-না, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়।
ফলে ক্যাচটি তৃতীয় আম্পায়ার রিভিউ করেন এবং রিপ্লে অস্পষ্ট থাকলেও আউট ঘোষণা করেন। অনেকেই মনে করেন, আউট দেওয়ার মতো যথেষ্ট প্রমাণ সেখানে ছিল না, যা সঙ্গে সঙ্গেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়।
পাকিস্তান দল ও সমর্থকরা এই সিদ্ধান্তে স্পষ্টতই হতাশ হয়েছিল। আউট হওয়ার পর ফখরও ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সাবেক ক্রিকেটার ও সমর্থকেরা টিভি আম্পায়ারের প্রযুক্তি ব্যবহারের ধরণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ফখরের আউট দলকে চাপে ফেলে দেয়, যা ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দিতে পারত বলে অনেকে মনে করেন।
ভারতের বিপক্ষে বড় ম্যাচে আম্পায়ারিং নিয়ে পাকিস্তানের অভিযোগ এটাই প্রথম নয়। এর আগে টুর্নামেন্টে প্রথম মুখোমুখি হওয়ার পর ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের আচরণ নিয়ে অভিযোগ করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
এবার আইসিসি অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। পাকিস্তান দল স্বচ্ছ ব্যাখ্যা দাবি করেছে এই বিতর্কিত আউট নিয়ে। ফখরের বিদায় টুর্নামেন্টের সবচেয়ে আলোচিত মুহূর্তগুলির একটি হয়ে উঠেছে, যা দেখিয়েছে কীভাবে একটি সিদ্ধান্ত ভারত-পাকিস্তান প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আরও তীব্র করে তোলে। সামনে যদি আবারও দুই দল মুখোমুখি হয়, তবে আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক উত্তেজনা আরও বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
এসএস/টিএ