বিএনপি গত কয়েকদিনের মধ্যে একটা বড় এবং ইতিবাচক রাজনৈতিক পদক্ষেপ আজ নিয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে হতে যাওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য তারা দুই শতাধিক আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী নির্বাচন করেছে। তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে তারা কিছু না বললেও জানা গেছে দুই শতাধিক আসনে তারা কাদের নমিনেশন দিতে যাচ্ছে। তাদের এই সিদ্ধান্তটা আমার কাছে খুবই ইতিবাচক মনে হয়েছে।
তিনি বলেন, আরো অনেকদিন আগেই জামায়াতে ইসলাম কিন্তু সকল আসনের জন্য তাদের প্রার্থী নির্বাচন করে ফেলেছিল। কোন আসনে কোন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিবে সেটা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল এবং সেই অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাদের প্রার্থীরা তাদের প্রচারণা শুরু করেছে।
মাসুদ কামাল বলেন, জামায়াত ইসলামীর প্রার্থীদের প্রচারণার স্টাইলটা খুবই ইন্টারেস্টিং; তারা প্রথমত প্রচারণা করছেন বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এবং নারীদের মাধ্যমে। নারীদের মাধ্যমে এরই মধ্যে জামায়াত ইসলাম খুব ভালো একটা অবস্থান করে নিয়েছে বলে বুঝতে পেরেছি।
মেয়েদের মধ্যে ভালো একটি সমর্থন তারা তৈরি করতে পেরেছে। জামায়াতের প্রার্থীরা মসজিদ, হাটবাজারে গিয়ে পুরুষদের মধ্যে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
এদিক থেকে বিএনপির মধ্যে নিষ্ক্রিয়তা ছিল উল্লেখ করে মাসুদ কামাল বলেন, কে নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন, এটি তারা ঠিক করতে পারেনি এবং কোন কোন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে আমরা চাঁদাবাজি এবং নানা ধরনের দখলবাজির খবর পেয়েছি, যেটা নাকি বিএনপির জন্য নেতিবাচক ছিল। এসবের বিপরীতে বিএনপির কোন আসনে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন সেই তালিকা আজ আমি জানতে পারলাম, দেখতে পারলাম; তারেক রহমান লন্ডন থেকে স্কাইপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে প্রচার-প্রচারণা চালানোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
মাসুদ কামাল বলেন, এতে একটি জিনিস ভালো হবে, সেটা হল যদি ওই এলাকায় কোন বিদ্রোহী প্রার্থী থাকেন, সেটা আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে প্রকাশিত হয়ে যাবে। আর প্রকাশিত হয়ে গেলে তার ব্যাপারে আলোচনা করা, তাকে বোঝানো বা প্রভাবিত করা কিন্তু সহজ হবে। কিন্তু একদম শেষ মুহূর্তে প্রার্থী ঘোষণা করা হলে বিদ্রোহীদের হয়তো থামানো যেত না।
দলীয়ভাবে এটি বিএনপির জন্য খুবই ইতিবাচক পদক্ষেপ উল্লেখ করে মাসুদ কামাল বলেন, এর ফল কী হয় সেটা খুব শিগগিরই আমরা দেখতে পাব। যে ১০০ আসনের মতো বাকি রয়েছে সেগুলো খুব দ্রুতই বিএনপি সমাধান করতে পারবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মাসুদ কামাল আরো বলেন, এর মধ্যে দেখলাম বিএনপি করেন না এমন বেশ কয়েকজনকে প্রাথমিকভাবে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আন্দালিব রহমান পার্থ আছেন গুলশান এলাকায়, মোহাম্মদপুর এলাকায় ববি হাজ্জাজকে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বিএনপি সম্ভবত এখন থেকেই তাদের যে প্রতিশ্রুতি ছিল, সেই জাতীয় সরকারের দিকে তারা অগ্রসর হচ্ছে।
কেএন/এসএন