এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশকে ৪১ রানে হারিয়ে আসরের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত। আগে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ১৬৯ রানের টার্গেট দেয় সুরিয়াকুমারের দল। জবাবে ১২৭ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস। এই ম্যাচের ফলাফলে আনুষ্ঠানিকভাবে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেল শ্রীলঙ্কা। আগামীকাল বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ম্যাচটি এখন অলিখিত সেমিফাইনাল।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দু’দল। টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক জাকের আলী।
নির্দিষ্ট রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই খেই হারায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দলীয় ৪ ও ব্যক্তিগত ১ রানেই বুমরাহর বলে দুবের তালুবন্দি হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। নতুন ব্যাটার পারভেজ ইমনের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। কুলদ্বীপ যাদবের বলে অভিষেক শর্মার ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাট হাসেনি এদিন। মাত্র ৭ রান করেই আক্সার প্যাটেলের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন তিনি। শামীম হোসেন বিদায় নেন শূন্য রানে।
একপ্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন ওপেনার সাইফ হোসেন। খেলেন ৫১ বলে ৬৯ রানের ইনিংস। বাকি ব্যাটারদের সবাই বিদায় নেন এক অঙ্কের রানে। শেষ পর্যন্ত ১২৭ রানেই শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
ভারতের হয়ে ১৮ রানের খরচায় ৩টি উইকেট তুলে নেন কুলদ্বীপ যাদব। ২টি করে উইকেট পান বুমরাহ ও বরুন।
এর আগে, টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম দুই ওভারে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দলীয় স্কোরবোর্ডে মাত্র ১০ রান তুলতে সক্ষম হয় ভারত।
তবে ম্যাচের তৃতীয় ওভার থেকেই যেন শুরু হয় চার-ছক্কার বৃষ্টি। সাকিব, নাসুম কিংবা মোস্তাফিজ-সাইফুদ্দিন সবার বলেই বেধরক পেটাতে থাকে প্রতিপক্ষ দলের দুই ওপেনার।
ম্যাচের সপ্তম ওভারে শুভমান গিলকে প্যাভিলিয়নে পাঠান রিশাদ হোসেন। দলীয় ৭৭ ও ব্যক্তিগত ২৯ রানে তানজিম সাকিবের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন গিল।
নতুন ব্যাটার শিভম দুবে সুবিধা করতে পারেনি এদিন। ব্যাক্তিগত ২ রানে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ম্যাচে রিশাদ হোসেনের দ্বিতীয় শিকার এটি। অর্ধশতকের দেখা পান অভিষেক।
ব্যক্তিগত ৭৫ রানে রান আউটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন অভিষেক শর্মা। অধিনায়ক সুরিয়াকুমারকে বিদায় করেন মোস্তাফিজুর রহমান। মাত্র ৫ রান আসে ভারতীয় অধিনায়কের ব্যাটে।
সাইফুদ্দিনের বলে বিদায় নেয়ার আগে হার্দিক পান্ডিয়া খেলেন ২৯ বলে ৩৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। ১টি ছক্কা ও ৪টি চার মারেন তিনি।
বাকিদের মধ্যে তিলক ভার্মা ৫ ও আক্সার প্যাটেল করেন ১০ রান। শেষ পর্যন্ত ১৬৮ রানে থামে ভারতের ইনিংস।
বাংলাদেশের পক্ষে ২৭ রানের খরচায় ২টি উইকেট তুলে নেন রিশাদ হোসেন। ১টি করে উইকেট পান তানজিম সাকিব, মোস্তাফিজ ও সাইফুদ্দিন।
উল্লেখ্য, ২ ম্যাচের দুটিই জিতে সুপার ফোরের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে ভারত। সমান সংখ্যক ম্যাচে ১টি করে জয় ও হার রয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের। আগামীকাল দু’দলের মুখোমুখিতে জয়ী দল পাবে মেগা ফাইনালের টিকিট।
এমআর