নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রধান কারণ ভেঙে পড়া নির্বাচন ব্যবস্থা ও ‘পচা নির্বাচন’। তিনি বলেন, আর কখনো এ ধরনের নির্বাচন হবে না। আজ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘নির্বাচন কর্মকর্তা সম্মেলন-২০২৫’-এ তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের প্রধান কারণ ছিলো পচা নির্বাচন। নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার কারণেই দেশে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আইন অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন করবো।’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সময়ের ক্রসরোডে দাঁড়িয়ে আছি। চোখ বন্ধ করেও বলা যায়, জুলাই আন্দোলনের প্রধান কারণ প্রহসনের নির্বাচন। আমরা আর কখনও পচা নির্বাচন করবো না। পক্ষপাতমূলক নির্বাচনের জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের ওপর কোনো চাপ দেওয়া হবে না। কেউ অনিয়ম করলে তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে, ইসি কোনো দায়িত্ব নেবে না।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএনএম নাসির উদ্দিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘অতীতে যা কিছু ঘটুক, আমাদের প্রমাণ করতে হবে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পারি।’ এ সময় তিনি উপস্থিত কর্মকর্তাদের হাত উঁচিয়ে শপথ করান আইন মেনে দায়িত্ব পালনের।
সিইসি উল্লেখ করেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এখন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। তিনি যাকেই বলছেন, বলছেন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। প্রধান উপদেষ্টার আমাদের প্রতি আস্থা আছে, আমাদের তা প্রমাণ করতে হবে।’
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘অতীতের যেকোনো নির্বাচনের তুলনায় আসন্ন নির্বাচন আরও চ্যালেঞ্জমুখী। আমরা নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য করতে চাই। আমাদের বড় দুটি চ্যালেঞ্জ হলো—এআইয়ের অপব্যবহার রোধ এবং প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। ধাপে ধাপে কাজ চলছে। রাতারাতি কিছু সম্ভব নয়। তবে ভালো নির্বাচনের বিকল্প নেই। জাতি আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, কমিশন ইতোমধ্যে পোস্টাল ভোটিং ও প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্যোগ নিয়েছে। ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কোনো কৃপণতা নেই, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি ভালো নির্বাচন আয়োজন করতে।’
ইএ/টিকে