চলতি এশিয়া কাপে দুবার মুখোমুখি হয়ে ভারতের কাছে কোনো পাত্তাই পায়নি পাকিস্তান। তাতে ফাইনালেও সূর্যকুমারদের বিপক্ষে লড়াই জমিয়ে তোলা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশ। তবে মেন ইন গ্রিনের অধিনায়ক সালমান আলী আঘার দাবি, শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে শুধু তারা নয়, চাপে থাকবে ভারতও।
ভারতের নবম নাকি পাকিস্তানের তৃতীয় শিরোপা? রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুবাইয়ে উত্তর মেলানোর লড়াই শুরু বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়।
এশিয়া কাপের ৪১ বছরের ইতিহাসে এমনটা কখনোই হয়নি। ১৬ আসরে, দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লড়েনি ফাইনালের মঞ্চে। এমনই এক ক্ষণ অপেক্ষা করছে।
পরিসংখ্যানে পিছিয়ে পাকিস্তান। শেষবার এই ফরম্যাটে ভারতকে হারানোর স্মৃতি ৩ বছর আগে। এরপর টানা ৪ ম্যাচে হার। এই টুর্নামেন্টে খেলা ২ ম্যাচে তো পাত্তাই পায়নি সালমান আঘার দল।
তবে দুবাইয়ে সেসব একপাশে রেখেই নামতে চাইবে মেন ইন গ্রিন। আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান অনুশীলন করেছে ফুরফুরে মেজাজে। পাক অধিনায়কের দাবি, ফাইনালে চাপে থাকবে ভারতীয়রাও।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘দুই দলের উপর সমান চাপ থাকবে। ফাইনালের আলাদা একটা চাপতো আছেই। আমরা চেষ্টা করব সেরাটা দেয়ার। যারা কম ভুল করবে তারাই ম্যাচ জিতবে। আমরা চেষ্টা করব ফাইনালে যাতে ভুল কম হয়।’
আইসিসি একাডেমিতে যখন ঘাম ঝরিয়েছে পাকিস্তান। তখন হোটেলবন্দী সময় পার করেছে টিম ইন্ডিয়া। শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ধকল কাটাতে অনুশীলন করেনি সূর্যকুমারের দল। এমনকি গণমাধ্যমের মুখোমুখিও হয়নি দলের কোন সদস্য। আগের দিনের পোস্ট ম্যাচেই সে কাজ সেরে রাখে মেন ইন ব্লু।
ম্যাচপূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বোলিং কোচ মরনে মরকেল বলেন, ‘খেলোয়াড়দের সংগঠিত করার জন্য আলাদা ফুল সেশন আছে। বড় ম্যাচের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে ম্যাসাজ নিতে পারবে তারা। এটি দ্রুত নিজেদের চাপমুক্ত করা ও স্মার্ট খেলার কৌশল। ম্যাচের আগে কোনো অনুশীলন থাকছে না।’
টি-২০ তে দুই দল মোট ১৫ বার মুখোমুখি হয়েছে। ১২ জয় ভারতের। ৩ বার হেসেছে পাকিস্তান। তবে সে ৩ জয়ের দুটোই এসেছে এই দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম। পাকিস্তান দলের সামনে আপাতত এই একটা অনুপ্রেরণা।
ইএ/টিকে